স্ত্রীরর সোনা আটকের খবর নেই, অভিষেককে ক্লিনচিট নির্বাচন কমিশনের।”

শরিফুল ইসলাম : বিমানবন্দরে দু’কেজি সোনা সহ আটক  মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতুষ্পুত্র সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী  —–  বিতর্কিত সেই খবরের ইতি টেনে দিল, আজ , মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নির্বাচন আধিকারিক এদিন তাঁদের প্রতিবেদনে দমদম বিমানবন্দর সূত্র উল্লেখ করে  জানিয়ে দেন,  সিআইএসএফ এর সিজার লিস্টে সোনা  সোনা আটকের মতন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি ।

    সম্প্রতি,  অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারলার বিরুদ্ধে দমদম বিমান বন্দরে  অবৈধ ভাবে সোনা পাচারের অভিযোগ এনে বিরোধী শিবির লোকসভা নির্বাচনের সামনে রীতিমত রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত করে তোলে।

    ভোটের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিরোধীদের আনা অভিযোগটি লঘু করে দেখেন নি। পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তিনিও বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন, ” বিষয়টি প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।” নির্বাচন নির্ঘন্ট প্রকাশনার পর পরই সর্বত্র শুরু হয়ে যায় আদর্শ নির্বাচন আচরণ বিধি।  নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখতে পারেন মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক। এবং আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা প্রার্থীর বিরুদ্ধেই যায়। সাজা  হিসাবে প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার ও কেড়ে নিতে পারেন কমিশন,এটাই দস্তুর।সেই সূত্রেই  অভিষেকের স্ত্রীর সোনা পাচারের অভিযোগ টি সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশন।

    আজ, দুপুরেই উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা নির্বাচন আধিকারিক সিইও কে যে রিপোর্ট পাঠান, সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টে দমদম বিমান বন্দরে সোনা আটকের কোনো উল্লেখ নেই। দুই যুযুধান পক্ষ ‘বিজেপি-সিপিএম’র আনীত অভিযোগ যা  অভিষেকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে, কার্যত  রাজ্য শাসক দল তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিঁধতে  গিয়ে  বুমেরাং হয়ে তা তৃণমূল বিরোধী শিবির কেই বেকায়দায় ফেলে দিলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।