|
---|
আলম সেখ, নতুন গতি : শিক্ষা অর্জন কারিরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যেই মূলত শিক্ষা অর্জন করে থাকে, উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পর ছাত্র ছাত্রীদের টিউশন পড়ানো ও চাকরির সন্ধানে ব্যস্ত থাকে। খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষিত ব্যক্তি সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষ, শিশুদের কথা ভাবে। সেই অল্প সংখ্যক মানুষদের তালিকায় আছে আলোর দিশারি পরিবার। এই আলোর দিশারি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সেখ রাহানাতুল্লা (রানা) মহাশয় দীর্ঘ এক বছর সোশ্যাল মিডিয়াকে কে ব্যবহার করে শিক্ষিত সামাজিক যুবক যুবতীদের এই আলোর দিশারি পরিবারের একত্রিত করে সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় শিশুদের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
কলকাতা শহরে বস্তিতে থাকা অসহায় পরিবারের কাছে বিপদের সময় সব রকম সাহায্য নিয়ে পৌঁছে যায় এই আলোর দিশারি পরিবারের সমাজ কর্মীরা। কিছুদিন আগে শিয়ালদার পার্শ্ববর্তী বস্তিগুলোতে থাকা অসহায় মানুষ যাদের ঘড়ে চাপানোর জন্য একটা পলিথিন ছিল না তাদের কে গিয়ে পলিথিন প্রদান করেন, অসহায় মানুষদের কে বিপদের সময় নিজে খাবার বানিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে তাদের কাছে পৌঁছে আসে এই পরিবারের যুবক যুবতীরা। কিছুদিন আগে একটা বস্তিতে ফেলে যাওয়া বাচ্চার দায়িত্ব পর্যন্ত নিয়ে নেই এই পরিবার। কতোকাল ৫ সেপ্টেম্বর ছিল শিক্ষা দিবস কালকের এই দিবসেও এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত দেখালো এই পরিবার।
কালকের শিক্ষক দিবস ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর স্মরণ উপলক্ষে সল্টলেকের রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় শিশুদের নিয়ে সম্পূর্ণ ফুটপাতে বসে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে করেন আলোর দিশারী পরিবার । নিজেদের পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আঙিনায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এরা ।তাদের লক্ষ্য পথশিশুদের শিক্ষার আঙিনায় ফিরিয়ে আনা। কলকাতায় অবস্থিত ফুটপাথে ও বস্তিতে জীবন যাপন করা অসহায় অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আঙিনায় ফেরানোর চেষ্টায় আলোর দিশারী পরিবার । আলোর দিশারি পরিবারের বক্তব্য – অসহায় পথ শিশুদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে। আজকের এই মহৎ দিনে ভারতের গৌরব ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান ও প্রণব মুখার্জি শ্রদ্ধা নিবেদনে পথশিশুদের মনে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। আজকের অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। তারপর ওদেরকে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি মেধা অন্বেষণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সেখ রাহানাতুল্লা (রানা) দীর্ঘদিন সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বেশ কিছু বন্ধুদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী এগিয়ে এসেছেন একঝাঁক যুবক যুবতীরা। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাক্স স্যানিটাইজার ব্যবহার করে শিক্ষা দান করে চলেছেন এই পরিবারের সদস্যরা।
কালকের এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরেন মাহাতো রাজ্য সম্পাদক আদিবাসী মুক্তি মঞ্চ,অজয় হেরা ,শ্রীমন্ত তাঁতি , মমতা তাঁতি সহ বিশিষ্ট শিক্ষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আলোর দিশারী পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সোমদত্তা বিশ্বাস, পাপিয়া খাতুন, খাদিজা খাতুন, আনিসা চৌধুরী, সানিউর রহমান, নাসিম গাজী, ইনজামাম হক,রাকেস খান , বাপ্পা সাপুই, ইয়াসিন আলী প্রমুখ। গত কালকের সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সেখ রাহানাতুল্লা।