করোনা ভাইরাস ও সামাজিক দূরত্ব সচেতনতাই মালদার চাঁচল মহকুমা জুড়ে বিশাল ফোর্স ও পুলিশ বাহিনীর রুট মার্চ।

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,৩০ এপ্রিল,মহ:নাজিম আক্তার:করোনা মহামারীতে সারা বিশ্ব নতমস্তক।বাদ পরেনি ভারতবর্ষও। করোনা মোকাবিলায় রাত-দিন ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করে চলেছে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার সহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা গ্রীন জোনের মধ্যে থাকলেও লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় করোনার থাবা থেকে বাদ পড়েনি মালদা শহরও। মালদার মানিকচকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরেই দ্বিতীয় করোনায় আক্রান্ত হয় রতুয়া বাহারালের আরো এক পরিযায়ী শ্রমিক। মালদা ঘোষিত হয়েছে অরেঞ্জ জোনে।নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা।শুরু হয়েছে গ্রাম ও বাজারগুলিতে পুলিশের নজরদারি ও টহল।

    বৃহস্পতিবার মালদার চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা টহলদারিতে আসে মালদা ও চাঁচলের বিশাল ফোর্স বাহিনী এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    এদিন রাস্তার মোড়ে,গ্রাম-গঞ্জে ও বাজারগুলি মাইকিং করে করোনা ভাইরাস সচেতনতা, শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচার চালানো হয়।তার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং কালাবাজারি বন্ধে সর্তকতাও জারি করা হয়।

    এদিন বিশাল ফোর্স বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চাঁচল মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায়, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস ও হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু।

    মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় জানান, মানুষের অসর্তকতার জন্যই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় লকডাউনে মালদা জেলায় দুই পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত। কোয়ারেন্টাইন হোম গুলিতে শুরু হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারস পরিক্ষা।তাই এদিন এলাকার মানুষদেরকে সচেতনতা করতে টহল করা হয়।

    হরিশ্চন্দ্র পুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, টহলদারির পাশাপাশি এদিন এলাকায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়।