লাইব্রেরিয়ানের বিদায় অনুষ্ঠানে কেঁদে ফেললেন পাঠকরা

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,১৬ ফেব্রুয়ারি,মহ: নাজিম আক্তার:
    দীর্ঘ ৪ বছর কর্তব্যরত থাকার পর ৩১ শে জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করলেন দৌলতপুর শ্রীমান চরিত্র পাঠাগারের সহকারি লাইব্রেরিয়ান গণেশ লোহার।

    রবিবার লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে এক আবেগঘন পরিবেশে সহকারি লাইব্রেরিয়ান গণেশ লোহারকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন কর্মকর্তারা।এদিন তার হাতে পুষ্পস্তবক,বেগ ও ডাইরি তুলে দিয়ে ‌বিদায় জানান হয়।

    এদিন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামসী কান্ডারণ লাইব্রেরির অবসরপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান কেবল দাস ও তুলসিহাটা পল্লীমঙ্গল পাঠাগারের কর্তব্যরত সহকারী লাইব্রেরীয়ান লাড্ডু লাল রবিদাস,দৌলতপুর শ্রীমান চরিত্র পাঠাগারের বর্তমান লাইব্রেরিয়ান বিপুল কুমার দে সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও পাঠকরা।
    নিজের কর্মজীবনের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে গণেশ লোহার বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২০ বছরের মধ্যে দীর্ঘ ৪ বছর এই লাইব্রেরীতে অতিবাহিত করেছি। ১৬ বছর সামসি কারণ লাইব্রেরীতে কর্তব্যরত ছিলাম।লাইব্রেরীর প্রতিটি ইট, বালু কণার সাথে আমার হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে যা স্বল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না। দীর্ঘদিনের এই চলাফেরার সকলের সাথে পরিবারের মতো সম্পর্ক হয়েছে যা কখনো ভুলতে পারব না ।

    তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজকের পর থেকে আমার সাথে এই লাইব্রেরীর ‌আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। যা অনেক দুঃখ ও কষ্টের। তবুও মেনে নিতে হচ্ছে,হবে এটাই নিয়ম। তবে আজকের পর আবার যখন আপনাদের কাছে আসবো ঠিক যেন এই আন্তরিকতা, ভালবাসাটুকু পাই এটাই চাওয়া।

    দীর্ঘ এক বছর ধরে বর্তমানে লাইব্রেরিয়ান পদে রয়েছে বিপুল কুমার দে।তিনি বলেন, গণেশ লোহার সময়ের প্রতি খুব যত্নবান ছিলেন। তিনি সময়মতো অফিসে আসতেন কখনো কোন কাজে ফাকি দিতেন না।কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে জানাতেন আমি সেটি করে দেয়ার চেষ্টা করতাম। লাইব্রেরিতে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি আশা করবো, অন্য যারা কর্মকর্তা আছেন তারাও নিজের কাজ গুলো দায়িত্বের সাথে পালন করবেন।সর্বোপরি ধন্যবাদ সকলকে আর দীর্ঘায়ুও সুস্থতা কামনা করছি আপনি আপনি সব সময়ে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমরা এটাই কামনা করি।