ফের ভিন রাজ্যে মৃত্যু চাঁচলের শ্রমিকের, চাঁদা তুলে ফিরছে দেহ

উজির আলী, নতুন গতি, চাঁচল:ফের ভিন রাজ্যে মৃত্যু চাঁচলের এক শ্রমিকের।এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও এক শ্রমিকের মৃত্যু হলো হরিয়ানার গুরগাঁও এ।
ভিনরাজ্যে যাওয়া অরবরার অটো চালকের মৃত্যুর ছায়া কাটতে না কাটতেই কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে আবারও মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। তাঁর বাড়ি চাঁচল-১ নং ব্লকের মতিহারপুর জিপির খাঁনপুর গ্রামে।
তসদুক হোসেন নামে বয়স পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁওতে নির্মান কর্মীর কাজ করতেন।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তিনি নিজের বাসস্থান বাদশাপুরে মারা যান। অভিযোগ, কীভাবে মারা গেলেন সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। খাঁনপুর গ্রামের অন্যান্য যুবক যাঁরা ওই এলাকায় কাজ করতেন তাঁদের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে পরিবার খবর পান। এবং তাদেরই উদ্যোগে দেহ গ্রামের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। গ্রামের যুবক রা জানিয়েছেন সকালে বাদশাপুরের চায়ের দোকানের সামনে মৃত্যু অবস্থায় পরে ছিলেন। খুন না কোনো রোগ জনিত মৃত্যু কেউ নিশ্চিত হতে পারছেনা।
স্ত্রী মজোমিলা বিবি জানান, ছয় মাস হলো সামী ও বিবাহ বিচ্ছেদ মেয়ে রৌসনা ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছেন। মেয়ে ওখানে ঝিঁ- এর কাজ করতেন। সামী কয়েক মাস আগে ফোনে জানিয়ে ছিলেন সুদে টাকা নিয়েছিলেন হরিয়ানার কোনো এক মহাজনের কাজ থেকে। টাকা পরিশোধ না দিলে প্রানে মারার হুমকি দিয়েছিলেন। তবে পরিবার নিশ্চিত নয় স্বভাবিক মৃত্যুতে।
শেষ বয়সেও ঋণের দায়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন তসদুক আলি। পরিবারের একমাত্র রোজগারের সদস্য ছিলেন। পরিবারে এক ছেলে রয়েছেন, সে বৌ নিয়ে মহারাষ্ট্রে স্থায়ী বাসিন্দা হয়েগেছেন।।
সামীর অকাল মৃত্যুতে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে মজোলিমা বিবির। স্বাভাবিক মৃত্যু নয় দাবী পরিবারের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পরিজনেরা।
স্থানীয় উপ প্রধান পিঙ্কি খাতুন ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছে।
তবে দেহ কীভাবে ফিরবে, বিপাকে ছিল পরিবার। গ্রামবাসীদের প্রচেষ্টায় চাঁদা তুলে দেহ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের মোড়ল আব্দুল মান্নান। ময়নাতদন্ত সেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত সেরে দেহ রওনা দিয়েছে বলে খবর। সম্ভাব্য শনিবার সকালে দেহ ফিরবে বলে অনুমান গ্রামবাসীর।