উদ্বোধন হতে চলেছে কালিয়াচকে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, মালদা: আগামি বুধবার উদ্বোধন হতে চলেছে মালদা কালিয়াচক চৌরঙ্গীতে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থার। কালিয়াচকে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগনালিং ব্যবস্থার। কালিয়াচকের মতো ব্যস্ততম চৌরঙ্গি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালিং না থাকায় সমস্যা হত। প্রশাসনের উদ্যোগে সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে কালিয়াচকবাসীর। আধুনিক ট্রাফিক সিস্টেম কাজ চলছে জোর কদমে। চলতি মাসে শুরু হয় কাজ। একমাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে কালই চালু হয়ে যেতে পারে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মালদা শহরাঞ্চলে এতদিন এই ব্যবস্থা চালু ছিল। এবার গ্রামীণ ব্লক এলাকায় প্রথম চালু হচ্ছে এই সুবিধা। ধীরে ধীরে অন্যান্য এলাকায় হবে। মূলত এতদিন ধরে ব্যস্ততম কালিয়াচক চৌরঙ্গী এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ট্রাফিক সিগন্যালের কাজ করে চলেছেন। রোজ প্রায় ৪০‌-‌৫০ হাজার মানুষের যাতায়াত হয়ে থাকে। ব্যস্ততাময় চৌরঙ্গী এলাকায় কখনও দড়ি হাতে পথচারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়, আবার কখনও লাঠি হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। রাতের অন্ধকারে টর্চ হাতে দেখা গেছে ট্রাফিক কন্ট্রোলে। কালিয়াচকে এবার আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালিং সাজে সজ্জিত হচ্ছে। কালিয়াচক চৌরঙ্গি এলাকায় একাধিক রোড এসে মিলিত হয়েছে। একদিকে চৌরঙ্গী থেকে দক্ষিণে আলিপুর রোড, উল্টোদিকে উত্তরে কালিয়াচক কালিয়াচক থানা রোড। এছাড়াও কালিয়াচক চৌরঙ্গী ওপর দিয়ে গেছে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগকারী জাতীয় সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী ও যানবাহনের আগমনে মুখরিত এই কালিয়াচক। এখন পর্যন্ত ম্যানুয়ালি ট্রাফিক সিগন্যালিং হয়ে এসেছে। নতুন ব্যবস্থা চালুর ফলে ভিড়েও দূর থেকে মানুষ লাল, সবুজ আলো দেখতে পাবেন। সেই মতো নিজেরাই চলাচল করতে পারবেন। এর ফলে দুর্ঘটনা অনেকটাই এড়ানো যাবে। জেলা ট্রাফিক ওসি তরুণ সাহা বলেন, ‘ইদের আগে কালিয়াচকবাসী নতুন উপহার পেতে চলেছেন। আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালিংয়ে সেজে উঠছে কালিয়াচকের চৌরঙ্গি মোড়। জেলার অন্যতম ব্যস্ততম মোড় এটি। এর ফলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে গতি আসবে।’‌ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ দীপক সরকার বলেন, ‘‌ট্রাফিক সিস্টেম চালু হলে পারাপারে শৃঙ্খলাবদ্ধ হবে। দুর্ঘটনাও অনেক এড়ানো যাবে। প্রথম প্রথম মানুষের সমস্যা হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে নতুন সিস্টেম নিয়ে মানুষকে সচেতন হয়ে উঠতে হবে।’‌