তেত্রিশ শো টাকার মাছ দেখতে ভিড় হরিশ্চন্দ্রপুরের ছত্রক গ্রামে

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,৮ মার্চ, মহ:নাজিম আক্তার:মাছ দেখতে ভিড় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের তুলসিহাটা জিপির ছত্রক গ্রামের সেখ মুক্তারের বাড়িতে। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তুলসিহাটা জিপির ছত্রক, তুলসিহাটা, আলিনগর, গাঙ্গনদীয়া ও বজনাথপুর গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পুরুষ-মহিলা সহ ছেলেমেয়েরা সাড়ে পাঁচ কেজি ওজনের ফল্লি মাছ দেখতে ভিড় জমান ছাত্রক গ্রামের বাসিন্দা সেখ মুক্তারের বাড়িতে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ছত্রক গ্রামে এক বড় জলাশয় রয়েছে।সেই জলাশয়ে মাছ চাষ করার জন্য পাঁচ বছর অন্তর জেলেদের লিজে দিয়ে থাকেন গ্রামবাসীরা। এবার পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিয়েছিল স্বপন মহালদার ও দিলীপ মহালদার সহ বেশ কয়েকজন।

    বৃহস্পতিবার জলাশয়ের জল পরিষ্কার,জীবানুমুক্ত ও মাছ মারার জন্য এক ধরনের বিষ জাতীয় ট্যাবলেট দিয়েছিলেন জেলেরা বলে জানান স্থানীয়রা।

    রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ছত্রক গ্রামের বাসিন্দা সেখ মুক্তার ও মালেক আলি সেই জলাশয়ে স্নান করতে গিয়ে জলের উপরে এক শিশুর মতো মরা অবস্থায় মাছটিকে ভাসতে দেখতে পান বলে জানা যায়। মাছটিকে বাড়িতে নিয়ে আসার খবর পেতেই স্থানীয়রা দেখার জন্য ভিড় জমান। মাছটির ওজন সাড়ে পাঁচ কেজি। যার বাজার দর মূল্য ৩৩ শো টাকা।

    সেখ মুক্তার ও মালেক আলি জানান, জলাশয়টি পাহাড়ার দায়িত্বে রয়েছেন তারা। এদিন স্নান করার সময় এই মাছটিকে দেখতে পান তারা। বিষজল খেয়ে মাছটি মারা গেছে বলেই জলে ভেসে উঠেছে। এখন বর্তমান বাজার দর মূল্য ৬০০ টাকা কেজি বলে জানান। মাছটি যেহেতু তিন দিন আগে মারা গেছে বলে পচন ধরেছে। মাছটি বাজারে বিক্রি করতে না পারায় তাদের মধ্যে একটা আফসোস দেখা দিয়েছে।

    বিশেষ সূত্রে জানা যায়, এটি একটি মিষ্টি জলের তৈলাক্ত মাছ। দীর্ঘবছর ধরে জলে থাকার পর তবে এতো বড় আকারের মাছ হয়ে থাকে।এটি জলাশয়ের পুরোনো মাছ হতে পারে বলে অনুমান।