|
---|
নতুন গতি নিউজডেস্ক: কোয়ারেন্টিন সেন্টারে প্রশাসন থেকে খাবার না পেয়ে র এখনো কোনো চিকিৎসা হয় নি বলে বিক্ষোভ দেখালো এলাকার একদল পরিযায়ী শ্রমিক। তবে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয় কয়েক ঘণ্টা বাদে। ঘটনার সূত্রপাত মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে বাইরে থেকে আসা বেশ কয়েকজন শ্রমিক কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকছিলেন। তাদের অভিযোগ তারা বেশ কয়েকদিন থেকে এখানে আছেন কিন্তু স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাদের জন্য কোন খাবার ব্যবস্থা করা হয়নি। আসেনি কোন মেম্বার। হয়নি কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এর সুরাহা চেয়ে আজ তারা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের দাবি অবিলম্বে তাদের প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে সঙ্গে অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভ তুলে দেয় |
ওই সেন্টারের এক শ্রমিক তপন সাহা জানান আমি মুম্বাইতে কাজ করতাম। আমার এখানে আসা পাঁচ দিন হয়ে গেল কিন্তু সেন্টারে আমাদের কোন খাবার ব্যবস্থা করেন নি ।বাড়ি থেকে খাবার আসছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে না। তাহলে আমাদের এখানে বেকার বেকার আটকে রেখেছে কেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকেও কোনো সাহায্য মেলে নি। আমরা তাই জবাব চেয়ে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি।
আরেক শ্রমিক গোপাল সাহা জানান আমরা দীর্ঘদিন থেকে এখানে আছি কিন্তু স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে কোনো প্রতিনিধি আমাদের এখানে আসেনি। খাবার বা অন্যান্য কিছুর ব্যবস্থা করেনি। শুধু জলের বোতল পৌঁছতে এসেছিল। দূরে থাকা সত্ত্বেও কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি। এসব অ-ব্যবস্থার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি। কোন জায়গাতে পঞ্চায়েত থেকে খাবার ব্যবস্থা করল না হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কেন খাবার এর ব্যবস্থা করছে না বলে স্থানীয় পরিযায়ী শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিসবা খাতুন কোনো মন্তব্য করতে চাননি সংবাদমাধ্যমের কাছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান বিক্ষোভের খবর পেয়েছি।এলাকায় একটা গুজব হয়েছে যে সেন্টারে থাকলে নাকি ৫০০ টাকা পাওয়া যাবে। কোন সরকারি আদেশ নামা নেই। স্থানীয় পঞ্চায়েত কে ওদের খাবার-দাবার করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।