সিকিমের পরিবহন দপ্তরের সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: সিকিমের পরিবহন দপ্তরের সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক। করোনার কারনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বর্তমানে আবার কিছুটা স্বমহিমায় ফিরছে উত্তরবঙ্গের এই শিল্প। পুজোর আগের থেকে উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে এই মুহূর্তে পর্যটকদের ভিড় রয়েছে।

    সিকিমে পর্যটকদের যাওয়ার ক্ষেত্রে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর, নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন ও জংশন বাস টার্মিনাস থেকে নেমে যে কোনো গাড়ি ধরে
    সরাসরি সিকিম রাজ্যে পৌঁছনো যায়। তবে এই ক্ষেত্রে সিকিমে পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি প্রবেশের আগে বাংলা সিকিম সীমান্তে ২০০ টাকার কর নেওয়া হয় গাড়ি চালকদের থেকে। তবে সম্প্রতি সেই কর ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি চালকেরা পর্যটক বোঝাই গাড়ি নিয়ে পর্যটকদের তাদের গন্তব্যে ছাড়তে গেলে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের নানা অছিলায় জরিমানা করছে। আর এতেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এ রাজ্যের গাড়িচালকেরা। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সিকিমের পরিবহন দপ্তরের সচিবকে একটি স্মারকলিপি দিল হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক। এদিন সংগঠনের হরফে শিলিগুড়িতে সিকিম পরিবহন দপ্তরের মাধ্যমে পরিবহন সচিবকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এই স্মারকলিপির মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের আর্জি জানান হয়।

    সংবাদমাধ্যমের কাছে কমিটির সদস্য জয়ন্ত মজুমদার বলেন, সিকিম রাজ্যের গাড়ি পশ্চিমবঙ্গে এসে অবাধ চলাচল করতে পারছে, অথচ এই রাজ্যের গাড়ি সিকিমে গিয়ে পর্যটকদের তাদের গন্তব্যে পর্যন্ত না পৌঁছতেই মাঝ পথে পর্যটকদের নামিয়ে দিতে বাধ্য করছে সেখানকার পুলিশ প্রশাসন। এই সমস্যায় ফলে আবার বড়োসড়ো ধাক্কার মুখে পড়তে চলেছে রাজ্যের পর্যটন শিল্প।বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে জিঞ্জাসা করা হলে তিনি জানান আমি এই দায়িত্বে এখন নেই তাই আমি কিছু বলব না।