|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক, ৪ জানুয়ারি: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার ক্ষোভে উগড়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় সরকারের পাকিস্তানি হিন্দুদের প্রতি মনোনিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগে নিজের দেশকে ঠিক করা উচিৎ।” তিনি জানান সংসদের উচিৎ যত তারাতারি সম্ভব এই আইন খারিজ করা। শুক্রবারে টাউনহলের সভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরবিন্দ বলেন, “এই আইন হিন্দু-মুসলিম উভয়কেই আঘাত করবে।” তিনি দাবি করেন “এই বিলের ফলে হিন্দু মুসলিম উভয়কেই বহিষ্কার করা হবে।”
কেরালার বিধানসভায় এই বিল খারিজ প্রসঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, “বিধানসভায় এটা পাশ হয়েছে না বাতিল হয়েছে সেটা বিষয় নয়। কিন্তু এটা সারা দেশে ও সংসদে বাতিল হওয়া উচিৎ।”
তিনি বলেন “অর্থনীতি তলানিতে, বাচ্চাদের জন্য চাকরি নেই, বাড়ি নেই। আর এই কেন্দ্রীয় সরকার ২ কোটি পাকিস্তানি হিন্দুকে নিয়ে আসতে চাইছে। “শুক্রবার সন্ধ্যায় টাউনহলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই আইনের প্রয়োজন রয়েছে কী? প্রথমে নিজেদের দেশ ঠিক করা উচিৎ। তারপর আমরা সবকিছু পাব।”
এই আইনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, বিহার অথবা উত্তরপ্রদেশের বুড়ারি থেকে একজন এসেছিলেন। তাঁকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, জন্মের প্রমাণপত্র(বার্থ সার্টিফিকেট) আছে? সেই ব্যক্তি বলেছিলেন “না, আমি বাড়িতে জন্মেছি, ওসব কিছু নেই। এমনকী আমার মা-বাবারও ওসব নেই।” এরপরেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, “তাহলে এবার কী? তোমাকে তো দেশ ছাড়তে হবে!”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি, ভারতের তিনটি মুসলিম প্রতিবেশী দেশ–বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে যে সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে পালিয়ে এসেছে এই নাগরিকত্ব আইন তাঁদের নাগরিকত্ব পেতে সহায়তা করবে। তবে সমালোচকদের দাবি, এটি মুসলিমদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এবং সমালোচকদের দাবি, এই আইন সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলি লঙ্ঘন করছে।