|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজধানী দিল্লিতে সুন্দর নগরী এলাকায় এক ব্যক্তিকে বেঁধে মারধর কার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। মারধরের পর এই ব্যক্তি মারা যান বলে খবর। ২৬ বছর বয়সী ইসার আহমেদের এই মৃত্যকে মেনে নিতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সকলে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। অভিযোগ, তাঁদের পরিবারের সদস্যকে পূর্ব দিল্লিতে সুন্দরনগরীতে একটি পোল-এ বেঁধে মারধর করে খুন করা হয়েছে।ইসার আহমেদের পরিবার বলছে, তাঁদের পরিবারের সদস্য ইসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি গণেশের প্রসাদ চুরি করেছেন বলে। যদিও উত্তর পূর্ব দিল্লির পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয় তিরকে বলছেন, ‘এটি কোনও সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়’। উল্লেখ্য, পুলিশ বলছে, ‘ওরা দেখেছে তিনি ঘুরঘুর করছেন আশপাশে, ফলে তাঁকে চোর সন্দেহ করে ফেলে তারা। তারপর তাঁকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে।’ ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে কামাল বলে এক ব্যক্তি। যে এলাকায় ডিজের ব্যবসা চালায় বলে খবর। কামালের ভাই ইউনিসও গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়াও মনোজ নামে এলাকার এক যুবক যে পেশায় দরজি, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেশায় শ্রমিক কিষেণ, কারখানার কর্মচারি পাপ্পু নামের ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, লাকি নামের এক ব্যক্তি, যার এলাকায় একটি মোমোর দোকান রয়েছে, সেও ধৃত। যে নাবালক গ্রেফতার হয়েছে, তার বয়স ১৭। পুলিশকে জািজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে তাঁরা কি কোনও তথ্য পেয়েছেন যে, মৃত ইসার গণেশর প্রসাদ চুরি করেছেন বা করতে গিয়েছিলেন? যার জবাবে পুলিশ বলছে, মামলাটি ‘সন্দেহ বিষয়ক’ মামলা। পুলিশ জানিয়েছে, তাদেরর জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছে, ওই যুবক ইসার এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। তখনই অভিযুক্তদের সন্দেহ হয়, ইসার গণেশের প্রসাদ চুরি করবেন। সেই সন্দেহের জেরেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এমনই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। তবে, জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছে যে, ইসারকে তারা প্রশ্ন করে, যে কেন সেখানে ঘোরাফেরা করছে সে? পুলিশ বলছে, প্রশ্নের সঠিক জবাব ইসার দিতে পারেনি কারণ সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিল। এদিকে, সন্দেহ বাড়তেই তাকে বেঁধে মারধর করা হয়। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। জানা যায়, এক পরিচিত ইসারকে তাঁদের বাড়ি নিয়ে যান, ইসারের পরিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ দেখে বাড়ির সামনে আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ইসার। সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।