|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : তুমি ডুব দিওনা জলে কন্যা মুক্তা খুঁজে পাইবানা,ওই ঝিনুকের মাঝে তুমি মুক্তা খুজে পাইবানা। এই কথাটা আমরা ছোট থেকে শুনে আসছি আর বাস্তবে আজ আমাদের চোখে দেখার সৌভাগ্য এবং অনেকেতা দেখেছেন সত্যি অবিশ্বাস্য হলেও সম্ভ। বিভিন্ন পুকুর থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করার পর ঝিনুকের মধ্যে ভাইজ স্থাপন করা হয়,তার পর টিসু প্রতিস্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের নিউক্লিয়াস পদ্ধতিতে ঝিনুক চাষ করা হয়। প্রথম অপারেশন করে ঝিনুকের মধ্যে নিউক্লিয়াস প্রতিস্থাপন করতে হয় তারপর ওই ঝিনুকু গুলি একটি আলাদা চৌবাচ্চায় বেশ পাঁচ ছয় দিন ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পর্যবেক্ষণের পর চার ইঞ্চি চওড়া আট ইঞ্চি লম্বা নেটের পকেট তৈরি করা তার মধ্যে দুই টি ঝিনুক পুকুরে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুকুরের উপরে দুই ফুট অন্তর এক একটা লাইন টানা হয় এবং রশি ঝুলিয়ে দেয়া হয় তার এক ফিট পর পর একটি করে জালি ঝুলিয়ে দেয়া হয় এক একটি পকেট এ দুইটি করে ঝিনুক রাখা হয়। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় এবং জলের ঘনত্ব সর্বদা দেখতে হয় এবং জল একটু বিবর্ণ হলে সাথে সাথে তাতে কলিচুন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষ করে এই ঝিনুক কের খাবার হিসাবে পুকুরে সরিষার খৈইল ব্যবহার করতে হয়। সরষের খৈইল ব্যবহার করা হয় আট থেকে ষোলোা মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ মুক্ত পাওয়া যায় এক একটি পূর্ণবয়স্ক ঝিনুকের মধ্যে দুইটি করে মুক্ত পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য মূল্য তিন শত টাকা। এক বিঘা পুকুরে চব্বিশ হাজর ঝিনুক চাষ করা যায়। এক একটি ঝিনুক চাষে বাৎসরিক খরচ দাঁড়ায় পঁচিশ টাকা। সর্বসাকুল্যে হাজার ঝিনুকের মধ্যে সাত সয়ের অধিক ঝিনুকের মধ্যে মুক্ত পাওয়া যায়। ঝিনুক পিছু দুইটি করে মুক্ত পাওয়া যাবে। মূলত তিন টি গ্রেডের মুক্ত পাওয়া যায় এ বি সি গ্রেড, এ গ্রেড এর মূল্য সর্বাধিক। সুন্দরবন লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় সাগর ব্লকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারা চাষ করেছেন এবং সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই মুহূর্তে ঝিনুকের চাষ দেখা যাচ্চে । যা অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এবং বেকারদের মুখে হাসি ফোটাবে । মাছ চাষের সাথে সাথে ঝিনুক চাষ করা যায় এবং যে পুকুরে ঝিনুক চাষ করা হয় সেই পুকুরের মাছ ভালো জন্মায় এবং মাছের মাছ খুব পুষ্টিকর হয়। কারণ এখানে জৈব সার ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে সরিষার খৈইল মাছের বৃদ্ধির একেবারে মোক্ষম। বিশ্ব বাজারে মুক্তোর কদর অপরিসীম।