|
---|
উজির আলী,নতুনগতি,চাঁচল: ৩০ মার্চ
লকডাউন ঘোষনাতে বন্ধ রয়েছে গনপরিবহন বাস ও ট্রেনের যাতায়াত ব্যবস্হা। বিপাকে পরেছেন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। তবে চরম সঙ্কটেও সোমবার কলকাতা থেকে চাঁচল পৌঁছাল ১০৫ জন শ্রমিক। ফেরত শ্রমিক মমতাজ হোসেন মোজাম্মেল হক আমিনা বিবিরা জানান, লকডাউন ঘোষনাতে মস্তিষ্ক ঘাতন হয়েছিল তাদের। কিভাবে বাড়ি ফিরবে উদ্বিগ্ন ছিল তাদের গ্রামের পরিবারও।
রবিবার সন্ধ্যায় নিজেরাই কলকাতায় বেসরকারি বাস ভাড়া করে।
তবে শত চেষ্টার সাফল্যেই এদিন চাঁচলের মাটিথে পা পড়েছে তাদের। গ্রামে ফিরেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে শ্রমিকরা। তারা জানান চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবান জিপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাহাজান আলী তাদের আনার ব্যবস্থা করেছিল।
শ্রমিক মমতাজ হোসেন জানান, কলকাতা শহর ঘেষা উত্তর চব্বিশ পরগনার সাসন থানা এলাকায় তারা কর্মরত ছিল। সকলেই মাংসের কারখানাতে কাজ করত। লকডাউন ঘোষনা হওয়ায় তারা বাড়ি ফেরার জন্য উদ্যোগী হয়। শেষমেষ পৌঁছাল বাড়িতে। তবে এদিন ভোর চারটে নাগাদ বেসরকারি বাসটি গন্তব্য চাঁচলে প্রবেশ করে। বাস থেকে নেমেই সোজা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লাইনে দাড়িয়ে যান শ্রমিকরা বলে খবর। তবে এদিন ৩০০ জনেরও বেশী শ্রমিককে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লাইনে দেখা গেছে। লাইনে দাড়িয়ে থাকা সকলেরই বক্তব্য আমরা সচেতন রয়েছি, প্রশাসনিক আদেশনুসারে ও ভারতকে করোনা মুক্ত করতে লাইনে দাড়িয়েছি।
শ্রমিকদের বাড়ির ফেরার বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাহাজান আলি বলেন, মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের কাছে আবেদন করেছিলাম। শ্রমিকরা যেন বাড়ি ফিরতে পারে। সাধ্য মতো সভানেত্রী ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান।
তবে শ্রমিকরা ফিরতেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকার বাসীর। রাজ্য সরকারের নির্দেশ ভিন ফেরতরা ১৪ দিন যেন গৃহবন্দী হয়ে থাকি। দাপিয়ে ঘোরা ফিরা না করে। তবে লকডাউন ঘোষনাথেও একাধিক ভিন শ্রমিক দাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনই খবর উঠে আসছে।
এলাকাবাসীর একাংশের দাবী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারান্টিনের ব্যবস্থা করা হোক।
সম্প্রীতি রবিবার খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শ্রমিকদের জন্য স্কুলে খোলা হয়েছে কোয়ারান্টিন।
তবে ভগবানপুর জিপি ও মহানন্দাপুর জিপিতে একই ভাবে কোয়ারান্টিন খোলা হোক বলে দাবী উঠে এসেছে এদিন।
শত শত শ্রমিক গ্রামে ফিরতেই একটা আতঙ্কের রূপ ধারন করেছে এলাকাবাসীর মধ্যে। কোয়ারান্টিন খোলা হবে কি? তাকিয়ে রয়েছে ভগবানপুর ও মহানন্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকাবাসী সহ পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। তবে কোয়ারান্টিনের খুলতে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উদ্যোগী হওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এবিষয়ে মহানন্দাপুর ও ভগবানপুর জিপির প্রধান জানান, এবিষয়ে পঞ্চায়েতের সর্বদলীয় আলোচনা ডাকা হয়েছে। পঞ্চায়েত উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছেন তারা।