পরপর মূর্তি উদ্ধার ! বিষ্ণুমূর্তির পর এবার উদ্ধার পূর্ণাঙ্গ সূর্য দেবতার মূর্তি অজয় নদের জল থেকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : পরপর মূর্তি উদ্ধার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট উত্তর অজয় নদ থেকে। বিষ্ণুমূর্তির পর এবার উদ্ধার পূর্ণাঙ্গ সূর্য দেবতার মূর্তি। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের খেড়ুয়া গ্রামের কাছে অজয় নদের জল থেকে উদ্ধার হল সূর্যদেবের ওই মূর্তি। পাথরে নির্মিত চুতুর্ভুজ সূর্যদেবের দুই হাতে রয়েছে দুটি প্রস্ফুটিত পদ্ম । বাকি দু’হাতে ঠিক কি আছে তা স্পট নয়। সাতটি ঘোড়ায় টানা রথের উপর দণ্ডায়মান সূর্য দেব। নীচে আছেন উষা ও প্রত্যূষা । তাঁদের পাশেই দেখা যাচ্ছে উষা প্রত্যূষার দুই পরিচারিকা দন্ডী ও পিঙ্গলা ।

    মূর্তিটি একাদশ-দ্বাদশ শতকে নির্মিত বলে অনুমান ইতিহাসবিদদের । কয়েকদিন আগেই অজয় নদের এই একই জায়গা থেকে জেলেদের জালের সঙ্গে উঠে এসেছিল দুটি বিষ্ণুমূর্তি । এদিনও নদীতে মাছ ধরার সময় জটাই ধীবর নামে এক জেলের জালে উঠে আসে পূর্ণাঙ্গ সূর্যদেবের মূর্তিটি । কিন্তু একই জায়গা থেকে একের পর এক প্রাচীন মূর্তি উদ্ধারের কারণ কি ? এই বিষয়ে আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক স্বপন ঠাকুর বলেন, এটা স্পষ্ট যে এক সময় এলাকায় বিষ্ণুদেবের পাশাপাশি সূর্যদেবেরও উপাসনা হত । পরবর্তীকালে বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা হিন্দুধর্ম বিরোধীদের আক্রমনের হাত থেকে বাঁচাতে এই সমস্ত মূর্তিগুলি স্থানীয় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেগুলি উঠে আসছে ।যেভাবে বার বার মূর্তি উদ্ধার হচ্ছে অজয় নদ থেকে তার ফলে বাড়তি নজর দেওয়া উচিত এমনটাই চাইছেন স্থানীয়রা। খননকার্য হলে জল থেকে আরও মূর্তি উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোটে রয়েছে দুটি সতীপীঠ। এছাড়া প্রাচীন সভ্যতার বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে ইতিপূর্বে । সেগুলি কখনও অজয়ের জল থেকে অথবা ব্যক্তিগতভাবে খোঁড়াখুঁড়ির সময় উদ্ধার হয়েছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । ফলে উপেক্ষিত থেকে গেছে মঙ্গলকোটের প্রাচীন ইতিহাস । এনিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় খনন কার্য চালাক পুরাতত্ত্ব বিভাগ