বকুলতলা মীর সাহেব ময়দানে মরহুম জিয়াদ আলী মীরসাহেবের স্মরণে ইফতার পার্টি,বিধবা মহিলাদের বস্ত্র বিতরণ ও দোয়ার মজলিস

 

     

    বাবলু হাসান লস্কর, রায়দিঘি :

    বকুলতলা মীর সাহেব ময়দানে মরহুম জিয়াদ আলী মীরসাহেবের স্মরণে ইফতার পার্টি এবং বিধবা মহিলাদের বস্ত্র বিতরণ ও দোয়ার মজলিস অনুষ্ঠিত হল।

    আর মাত্র কয়েকটা দিনের পরেই ঈদ উল ফিতর। আর ঈদে নতুন জামা কাপড় কেনার উৎসব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ঠিক পাশেই এমন অনেক মানুষ আছে যারা নতুন কাপড়তো দূরের কথা ঈদের দিনে ১ বেলা লবন দিয়ে ভাত খেতে পারবে কিনা সে চিন্তায় তারা কাতর। আমরা প্রতিদিন কত টাকা কত দিকে নস্ট করি কোনোরুপ এই সকল অসহায় দের কথা মনে করি না।

    তাই এসব হতদরিদ্র পরিবারের অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত বিধবা মহিলাদের কথা ভেবেই মরহুম জিয়াদ আলী মীর সাহেব এর স্মরণে বিশিষ্ঠ সমাজসেবী আব্দুস সাত্তার মীর ও হলদিয়া দুর্গার চক তন্ময় মিদ্দের যৌথ উদ্যোগে রায়দীঘি থানার অন্তর্গত বকুলতলা মীর সাহেব ময়দানে ইফতার পার্টি, বিধবা মহিলাদের নতুন বস্ত্র ও দোওয়ার মজলিসের আয়োজন ছিল। সূত্রে জানা গেছে এখানে প্রায় একশতাধিক বিধবা মহিলাদের মধ্যে ঈদের নতুন বস্ত্র উপহার স্বরূপ প্রদান করা হয়।

    বিশিষ্ঠ সমাজসেবী আব্দুস সাত্তার মীর তিনি জানান আপনাদের সহযোগিতা নিয়েই আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শতাধিক অসহায় গরীব মানুষের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরনে আপনাদের দুআয় ও নিজস্ব ব্যাক্তিগত সহযোগীতায় তাদের হাতে অন্তত একটি নতুন কাপড় দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আপনার সামান্য পরিমান দুআ ও সহযোগীতাই পারে একটা হতদরিদ্র পরিবারের শিশুর ঈদের আনন্দটা উপভোগ্য করতে। তিনি আরও বলেন মুমিনের জীবনের প্রধানতম লক্ষ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা অর্জন। প্রকৃত মুমিনের সব কর্মপ্রচেষ্টা মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনকে ঘিরে। কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকালে মুক্তি পেতে নেক কাজ করাই মুমিনের কর্তব্য। এক্ষেত্রে অন্য কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যে ইবাদত গ্রহনযোগ্য হবে না।যেমন সাময়িক বা জাগতিক কোনো স্বার্থে কিংবা কোনো গোষ্ঠী-দল, সম্প্রদায়, সংস্থা এমনকি কোনো নেকলোকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যও ইবাদত করা যাবে না।কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই আমরা ইফতারসহ সব ইবাদতে শামিল হওয়াই বাঞ্ছনীয়। অন্যথায়, আমাদের ইবাদত কোনোভাবেই ইসলামের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে না এবং আমরা রবের কাছ থেকে এর কোনো বিনিময়ও পাব না। আমাদের জীবৎকালে ইসলামের একটি বিষয়ের মারাত্মক বিকৃতি হলো। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিশ্চয়ই আমাদেরকে দায়ী করবে। অপরকে ইফতার খাওয়ানো ইবাদত থেকে পার্টিতে পরিণত হলো। এটি এক ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, পুনর্মিলনী কিংবা কিছু ক্ষেত্রে বিনোদনে পরিণত হয়েছে। ফলে যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে অপরকে ইফতার খাওয়ানো ও বস্ত্র বিতরণ ইবাদত ও সওয়াবের কথা বলা হয়েছে তা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছি আমরা। বরং এসব ইফতার পার্টিতে ইসলামের কিছু অত্যাবশ্যকীয় বিষয় তথা ফরজের বিধান হামেশাই লঙ্ঘিত হচ্ছে। ইফতার আরবি ‘ফুতুর’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। ‘ফুতুর’-এর অর্থ নাশতা করা বা হালকা খাবার খাওয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর রোজা সমাপ্তির জন্য পানাহার করাকে ইফতার বলা হয়। ইফতার একটি মহান ইবাদত তা নিজে খাওয়ার মাধ্যমে হোক কিংবা অন্যকে খাওয়ানোর মাধ্যমে হোক,ইফতারের পূর্বমুহূর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকবে সৃষ্টি কর্তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য।