বগটুইয়ে নৃশংস  ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি তার মধ্যেই ফের বিধবা মহিলাকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা : বগটুইয়ে নৃশংস  ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের বিধবা মহিলাকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ । এ বারের ঘটনাস্থলও সেই বীরভূম জেলার রামপুরহাট । মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে  দায়ের হয়েছে থানায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, খাস জমি দখলে বাধা দিয়েছিলেন। তাতেই মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে সম্প্রতি যেখানে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা। গত ২১ মার্চ রাতে সেখানে বোমার আঘাতে খুন হন তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পর পর কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে শিশু-সহ ন’জনের মৃত্যু হয়। ভাদু খুনের বদলা নিতেই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয় বলে ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বালি এবং পাথর খাদানের বখরা নিয়ে ঝামেলা থেকই এমন পরিণতি বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই বগটুই থেকে এ বার এমন ঘটনা সামনে এল। বাড়ি তৈরি নিয়ে বিবাদ থেকে ওই মহিলাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থার শিকার ওই মহিলার শাশুড়ি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ” বউমার চুলের মুঠি ধরে, আমার চুলের মুঠি ধরে মারল। এসে বলছে, ‘বগটুইয়ের মত তোদের পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়া মারব’।” বাড়ি তৈরিতে অনুমতি দিতে ৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

     

    খাস জমি দখলে বাধা দেওয়াতেই মিথ্যে অভিযোগ, দাবি তৃণমূলের

     

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আব্বাস হোসেনের দিকে অভিযোগের তির। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “সব মিথ্যা অভিযোগ। রামপুরহাট মহকুমা আদালত রামপুরহাট পুরসভাকে বাড়িটি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও জোর করে বাড়ি করছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি। অভিযোগ সত্যি প্রমাণ হলে শাস্তি মাথা পেতে নেব।” খাস জমি দখলে বাধা দেওয়াতেই মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।

     

    ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর তুফানী মাল যদিও আব্বাসকেই সমর্থন করেছেন। তাঁর কথায়, “ওদের বাড়িতে কেউ ভাঙচুর করেনি। সব মিথ্যা কথা৷ বাড়িটা হচ্ছে খাসের জায়গায়। ওরা পুরো জায়গাটা দখল করবে। সেটা কেন হবে? আমরা চাই বাচ্চাদের স্কুল হবে।”

    যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে আবার রামপুরহাটে বগটুইয়ের মত ঘটনা ঘটবে। যারা হুমকি দিচ্ছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। কোনও তৃণমূল নেতার এই ধরনের কথা বলার অধিকার নেই।”