সাশ্রয়ী করে তোলার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকের হাতে একটি করে লক্ষ্মীর ভাঁড় তুলে দেওয়া হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- এখনকার দিনে অধিকাংশ পড়ুয়াদের স্কুল যাওয়ার সময় হাতে তুলে দেওয়া হয় টিফিনের জন্য হাত খরচ। ওই টাকা দিয়ে বাইরের দোকানে নানান জিনিস, বিশেষ করে ফাস্টফুড খেতে দেখা যায় পড়ুয়াদের। যা পড়ুয়াদের শরীরের ক্ষতি করে। এই পরিস্থিতি থেকে পড়ুয়াদের রক্ষা করতে এবং তাদেরকে সঞ্চয়ী করে তুলতে বীরভূমের একটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা অভিনব উদ্যোগ নিলেন। বীরভূম জেলার সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত আড্ডা গ্রামের আড্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং সাশ্রয়ী করে তোলার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকের হাতে একটি করে লক্ষ্মীর ভাঁড় তুলে দেওয়া হয়। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে এইভাবে লক্ষ্মীর ভাঁড় তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা কি করে এলো! শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, \”অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় স্কুলের ভাল ভাল ছাত্ররা হঠাৎ করে স্কুল আসে না। সেই সময় আমরা তাদের বাড়িতে খোঁজ করতে গিয়ে দেখতে পাই তারা পেটের সমস্যায় ভুগছে। এই সকল বিষয় দেখে আমরা মনে করেছি বাইরের খাবার-দাবার কিনে খাওয়া বন্ধ করতে হবে পড়ুয়াদের। এই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়াদের যে লক্ষ্মীর ভাঁড় দেওয়া হয়েছে তা স্কুলের মধ্যে রেখে দেওয়া হবে। প্রতিটি লক্ষ্মীর ভাঁড়ে পড়ুয়াদের নাম লিখে রাখা হবে শনাক্তকরণের জন্য। সেখানে পড়ুয়ারা নিজেদের ইচ্ছেমতো সঞ্চয় করতে পারবে। বছর শেষে সেই লক্ষ্মীর ভাঁড় পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। উদ্দেশ্য জমানো সেই অর্থ দিয়ে তারা যেন ভালো কোন কাজ করতে পারে। স্কুলের শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তারা জানিয়েছেন খুব ভাল উদ্যোগ। বছরের শেষে যে অর্থ জমা হবে তা আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল।