|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- এ বছর গ্রীষ্মের ছুটি ছিল ১১ দিন। কিন্তু তীব্র গরমের জন্য তা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫ দিন। দীর্ঘ মেয়াদী এই ছুটি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। করোনাকালে ঘরবন্দি ছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। তাতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ক্ষতি হয়েছে।মহামারী কাটিয়ে যখন স্কুলগুলো ফিরছিল তাদের পুরনো ছন্দে ঠিক তখনই লম্বা ৪৫ দিনের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ফের পড়াশোনায় ছেদ পড়তে পারে, এমনটাই জানালেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ বিষয়ে কোন্নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা বলেন, এমনিতেই সরকারি স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠনের পর্যায়ক্রম ধীর গতিতে চলে, তার মধ্যে লম্বা ছুটি পড়ুয়াদের মানসিকতার উপর যথেষ্ট প্রভাব পড়বে।এমনিতেই গরমের ছুটি নির্ধারিত থাকে। তবে এই বছর তাপপ্রবাহের জন্য গরমের ছুটি অনেক দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যে প্রয়াস চলছিল তা কিন্তু অনেকটাই বিঘ্নিত হবে এই ছুটির ফলে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথায়,মহামারী কাটিয়ে যখন স্কুলে আসা শুরু করল ছাত্র-ছাত্রীরা,তখন দেখা গেল নিচু ক্লাসের অনেকেই ঠিকমত রিডিং পড়তে পারছে না। হাতের লেখার অভ্যাস নেই বললেই চলে।কোন্নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, সরকারি নির্দেশিকা ৪৫ দিন ছুটির কথা উল্লেখ করা থাকলেও সেখানে বলা আছে যে কোনও দিন নতুন নির্দেশিকা জারি হতে পারে ছুটি নিয়ে। তাই তিনি আশাবাদী আবহাওয়ার যদি উন্নতি হলে হয়তো ফের সরকারি নির্দেশিকা দিয়ে ছুটির মেয়াদ কমিয়ে আনা হবে। তিনি আরও বলেন, যদি এই ছুটির মেয়াদ না কমে তাহলে করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো করাচ্ছিলেন তাঁরা, সেই পন্থা ফের অবলম্বন করা হবে।