|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: অলিম্পিক বা আর্ন্তজাতিক ক্রীড়া মঞ্চে অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সাফল্য বরাবরই অধরা থেকে যায় ভারতের। ১৯৬০-র মিলখা সিং, ১৯৮৪-র পিটি উষা কিংবা এই টোকিও অলিম্পিকেই কমলপ্রীত কউর – ভেঙ্গে যায় পদকের স্বপ্ন।
তেইশ বছরের নীরজ চোপড়ার কাছে পদকের আশা ছিল দেশবাসীর। হবে নাই বা কেন? বিশ্ব রেকর্ড করে অনূর্ধ্ব ২০ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন, কমনওয়েলথ, এশিয়ানের সোনা জয়ী পানিপথের ছেলেটি অনেক যুদ্ধই জয় করেছেন।
শুরুটা অবশ্য অপ্রত্যাশিত। ছোটবেলায় ভারী চেহারার বাড়তি মেদ ঝরাতে গিয়ে জ্যাভলিনের সঙ্গে পরিচয় নীরজের। তারপর আর ফিরে তাকাননি। একের পর এক আর্ন্তজাতিক খেতাব জিতে নীরজ এখন গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে। সঙ্গে বইছেন দেশবাসীর প্রত্যাশার ভার। যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথম থ্রো’তেই ৮৬.৬৫ মিটার পার করে ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার কীর্তি সেই প্রত্যাশা আরোই বাড়িয়েছে।
কোয়ালিফিকেশানের দুটো গ্রুপ মিলে শীর্ষস্থান পেয়েছিলেন ভারতীয় প্রতিযোগী। অবশ্য ফাইনালে কঠিন প্রতিযোগীতার মুখে পড়তে হবে একথা জানা ছিল নীরজেরও। জার্মানীর জোহানেস ভেটার, জুলিয়ান ওয়েবার, পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিম, চেক প্রজাতন্ত্রের জাকুব ভাদলেচ লম্বা তালিকা সম্ভাব্য পদকজয়ীদের। ফাইনালিস্টদের মধ্যে এই মরশুমে দ্বিতীয় সেরা থ্রো করা নীরজ স্বাভাবিক ভাবেই ফেভারিট হিসাবেই শুরু করেন প্রতিযোগীতা।
ফাইনালের প্রথম থ্রো’টি ৮৭.০৩ মিটারের করেন নীরজ। সম্ভাব্য পদকজয়ী জার্মানীর জোহানেস ভেটার প্রথম থ্রো ছিল ৮২.৫২ মিটারের। প্রথম থ্রো শেষ হওয়ার পর ক্রমতালিকায় শীর্ষেই ছিলেন নীরজ। এরপর ভারতীয় প্রতিযোগী তার দ্বিতীয় থ্রো’টি ৮৭.৫৮ মিটারের করেন।
তৃতীয় থ্রো’টি নীরজ আগের দুটি চেয়ে অনেক কম ৭৬.৭৯ মিটারের করলেও, প্রথম থ্রো’টির সৌজন্যেই শীর্ষে থেকেই ফাইনালের অন্তিম পর্যায়ে যান। চরম অঘটন ঘটিয়ে এই পর্যায় থেকেই ছিটকে যান হট ফেভারিট জোহানেস ভেটার।
ফাইনালের অন্তিম পর্যায়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ থ্রো দুটি আশানুরূপ না হওয়ায় ইচ্ছাকৃত ভাবে অবৈধ করিয়ে নেন নীরজ। ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারের ৮৭.০৩ মিটারের প্রথম থ্রো’টি কেউই পেরোতে না পারায়, ইতিহাস তৈরি করলেন নীরজ। দেশের সবচেয়ে সফলতম অলিম্পিকের শেষ পদক হিসাবে এলো সোনা।