|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি: ভারতীয় সেনা হোক কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, দুজনেই জঙ্গি মোকাবিলায় ব্যস্ত। একদিকে চারদিন বাদেও অনন্তনাগে লড়াই অব্যাহত। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানায় শিকড় ছড়াচ্ছে আইএস। যদিও অনন্তনাগে তিন আধিকারিকের মৃত্যুর বদলা বারামুলা জেলায় নিলো সেনা। এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি। উরি এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এখনও জেহাদিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানায় আইএস সন্ত্রাস শুরুতে থেকে রুখতে দুই রাজ্যের অন্তত তিরিশটি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ।
বারামুলা জেলায় পাওয়া সাফল্য সম্বন্ধে কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, “উরি সংলগ্ন বারামুলা জেলার হাথলাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে সেনাবাহিনী ও বারামুলা পুলিশের যৌথ এনকাউন্টারে নিকেশ হয় দুই জঙ্গি। তারা সীমান্তের ওপার থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অস্ত্র পাচার করত। ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিল।”
অন্যদিকে ইসলামিক স্টেট এর প্রশিক্ষণ সম্বন্ধে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানার অন্তত তিরিশটি জায়গায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। সেখানে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল ইসলামিক স্টেট। এদিন, কোয়াম্বাটরে ২১টি জায়গায় হানা দেন গোয়েন্দারা। চেন্নাইয়ের তিনটি ও হায়দরাবাদের পাঁচটি ও তেনকাসির এক জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, “কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির জায়গা নিতে চাইছে আইএস (খোরাসান)। বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিনের হাত ধরে ঢুকে পড়েছে সংগঠনটি। আইএস শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়। এটি মতাদর্শ। যার উদ্দেশ্য গোটা বিশ্বে শরিয়ত আইন লাগু করে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করা। আর এর জন্য ভারতীয় মহাদেশে প্রস্তুতি শুরু করেছে সংগঠনটি।”