কেন্দ্রীয় জনবিরোধী মোদি সরকারের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব বিক্ষোভ কর্মসূচি

নতুন গতি ডেস্ক: কেন্দ্রীয় জনবিরোধী মোদি সরকারের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরো রাজ্য জুড়ে শনি ও রবিবার প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের উপস্থিতিতে।
রবিবার উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার দেগঙ্গা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেগঙ্গার বেলিয়াঘাটা পেট্রল পাম্পের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে কেন্দ্রীয় জনবিরোধী মোদি সরকারের কাজকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে জেলা সভাপতি শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতে তেলের দাম যখন অনেকটাই কম সেখানে আমাদের দেশে সেঞ্চুরি পার করে দিয়েছে বিজেপি সরকার।
পরপর দুদিন দেগঙ্গায় প্রতিবাদ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেয় বিধায়ক রহিমা মন্ডল,উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা জনাব এ কে এম ফারহাদ সাহেব, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি (মিন্টু), মহিলা নেত্রী নন্দিনী মৌলিক, তুষার কান্তি দাস, মুকুল, আনিসুর রহমান বিদেশ, ঊষা দাস, নীলুপদ দাস, পম্পা দত্ত, রিঙ্কু সাহাজি, নওসাদ উদ জমান, সুনীলবরণ ঘোষ, দেবাশীষ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কোভিড বিধি মেনে প্রতিবাদ সমাবেশে বিধায়ক রহিমা মন্ডল বলেন দেশ চরম সংকটের মধ্যে অবস্থান করছে।যেকোন পরিস্থিতিতে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করতে হবে তাই এখন থেকে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে আছি।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা কর্মাধ্যক্ষ জনাব এ কে এম ফারহাদ সাহেব দৃঢ় কন্ঠে বলেন উন্নয়ন,সম্প্রিতী,ঐক্যের মেলবন্ধনে বৈচিত্র্যময় বাংলায় কোন বিভাজিত শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিভাবকত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় জনবিরোধী মোদি সরকারের পেট্রোপণ্য, গ্রাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পুরো রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের স্বতস্ফূর্ত সুষ্ঠ অংশগ্রহণে ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে বলে ফারহাদ সাহেব দাবি করেন।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি বলেন যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে এইভাবে যদি চলতে থাকে অদূর ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে।তাই যেকোন পরিস্থিতিতে আগামী ২০২৪ নির্বাচনে জনবিরোধী মোদি সরকারকে ভারত ছাড়া করতে হবে।