মাটির নিচে পরমাণু কেন্দ্র বানিয়েছে ইরান অভিযোগ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সীর

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: মাটির নিচে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বা পরমাণু কেন্দ্র বানিয়েছে ইরান। এক সাক্ষাতকারে এই অভিযোগ করেছেন আইএইএ সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রসি।রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্ত আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মধ্যস্থতায় ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ইরানের সঙ্গে পাঁচ শীর্ষ দেশের ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতা হয়। তার আগে ও পরে বহুবার ইরানের পরমাণু স্থাপনা ও কর্মসূচি খতিয়ে দেখতে আইএইএ-র টিম ইরান সফর করেছেন। প্রতিবারই তাঁরা রিপোর্ট দিয়েছে সন্তোষজনক বলে। কিন্তু এবারই প্রথম সংস্থাটি অন্যরকম অভিযোগ করল। উল্লেখ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ মে ২০১৮ পরমাণু সমঝোতা ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং ইরানের ওপর পুনরায় সমস্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে পানিঘোলা হতে থাকে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয় চলতি মাসেই। তারপরেও নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপাতে ফন্দি-ফিকির করছে আমেরিকা।

     

     

    অন্যদিকে ট্রাম্পের আমেরিকা বেরিয়ে গেলেও চুক্তির অন্যান্য সইদাতা চিন,রাশিয়া,ফ্রান্স,ব্রিটেন এবং জার্মানি প্রভৃতি দেশগুলো তদের কথা রাখেনি। তারা ইরানের পাশে এবং চুক্তির সঙ্গে থাকার কথা মুখে বললেও বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছে তেহরান। আবার অতি সম্প্রতি ট্রাম্প তাঁর নর্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলেছে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলে একমাসের মধ্যে ইরানের সঙ্গে নতুন পরমাণু চুক্তি হবে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেন বলেছেন তিনি ক্ষমতায় এলে ট্রাম্পের ছেড়ে যাওয়া চুক্তিতে নতুন করে ফিরবে আমেরিকা।

     

    এই পরিপ্রেক্ষিতে আইএইএ অভিযোগ আনল যে মাটির নিচে নাকি নতুন করে পরমাণু কেন্দ্র বানিয়েছে ইরান। যা বিষয়টিকে আরও জটিল করবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বেশ কয়েক বছর আগে একবার পশ্চিমারা অভিযোগ করেছিল তাদের স্যাটেলাইটে নাকি ধরা পড়েছে ইরানের ভূগর্ভস্থ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট। তখন তারা বলেছিল শক্তিশালী বিমান হামলাতেও যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য সাড়ে ৭ মিটার নিচে প্ল্যান্ট তৈরি করছে ইরান। তারপরেও ৫ বছর আগে চুক্তি করে পশ্চিমারা। সেই চুক্তিতে বলা হয় পরমাণু কর্মসূচি ও গবেষণা করলেও পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে না ইরান। তাই ইউরেনিয়াম মজুদের সর্বোচ্চ সীমাও বেঁধে দেওয়া হয় চুক্তিতে। কিন্তু ট্রাম্প সেই চুক্তি ছাড়ার পর ইরানও হুমকি দিয়ে বলে পরমাণু ইস্যুতে এবার তারা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে এবং কোনও নিয়ন্ত্রণ তারা মানবে না।