চিরাচরিত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে কলার মান্দার ভাসানোর পালা গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায়

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :
দিনের পর দিন চলে আসা প্রাচীন ঐতিহ্য কলার মান্দার ভাষানো। বিশেষ করে বর্ষায় সাপের উপদ্রব্য বাড়ে তা প্রশমিত করার লক্ষে পুরুষানুক্রমে চলে আসা গ্রামবাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্যের প্রথা। মা মনসা দেবীকে সন্তুষ্টির নিমিত্তে বিশেষ পূজা পার্বণের মাধ্যম দিয়ে নদীতে বা সমুদ্রে কলার মান্দার ভাষানো । চিরাচরিত রীতি অনুসারে এমনই দেখা মেলে বিশেষ করে গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায়। ভাদ্রের শেষ পর্যন্ত কলার মান্দার নদী ঘাটে দেখা মেলে। বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যম দিয়ে সুসজ্জিত মান্দার তৈরি করে নদী কিম্বা সমুদ্রে তা ছেড়ে দেয়া হয় ঢাকঢোল কাঁশি করোতালের আওয়াজের মাধ্যম দিয়ে। দেবতার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এমনই পন্থা অবলম্বন করেন ধর্মপ্রাণ মানুষজন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় কুলতলী রায়দিঘি মথুরাপুর ক্যানিং বাসন্তী পাথরপ্রতিমা সহ একাধিক এলাকায় এমনই দেখা মেলে। লোকসংস্কৃতি- চাঁদ সদাগর মা মনসা মায়ের পালাগান বিগত দিনেও চলত এই মুহূর্তে তা অনেকটা কমলেও -আর এই মা মনসা কে সন্তুষ্ট করার জন্য গ্রাম বাংলার মানুষেরা বিশেষ ভাবে বহু বছর ধরে এই অনুষ্ঠানটি করে আসছে। কলার মান্দার যেখানে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত দেখা মেলে। দেবী মা মনসা নিজেকে দেবতার আসনের বসাতে গিয়ে তিনি মানবের পূজা পাওয়ার জন্য চাঁদ সওদাগরের এক এক করে সাতটি সন্তানকে তিনি ছয়টি সন্তানকে তিনি তারপরে এই লোকসংস্কৃতি গ্রাম বাংলার পাড়ায় পাড়ায় দেখাবেন বিশেষত দেব দেবীকে সন্তুষ্টি করতে এমনই প্রয়াস ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে দেখা মেলে।