|
---|
সম্প্রীতি মোল্লা,কলকাতা : আমরা যখনই কোনো দন্তচিকিৎসকের কথা শুনি তখনইএক অদ্ভুত আতঙ্ক কাজ করে আমাদের মনের মধ্যে। মনে হয়, আমাদের উল্টোদিকে যে চিকিৎসক দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর মাধ্যমে আমাদের শরীরে অর্থাৎ মুখোগহবরের মধ্যে যন্ত্রণাদায়ক কিছু হতে চলেছে। দন্তচিকিৎসা আর যন্ত্রণা একে অপরের সঙ্গে ছিল বহুবছর ধরে। কিন্তু বর্তমানে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।শুক্রবার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই যন্ত্রনাহীন দন্তচিকিৎসার বিষয়ে আলোকপাত করলেন ডঃ মুন চট্টরাজ। এখানে আরো কিছু বিশেষ ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন। ডক্টর মুন চট্টরাজ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির চিকিৎসা করেছেন। অনুষ্ঠানএ উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ রাজীব সীল, এমবিবিএস, পরামর্শক,আমরিহসপিটাল এর সিইও মিস্টার রূপক বড়ুয়া,এপেলোগেনিক্যালসের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান ডক্টর তন্ময় দাস,ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও প্রসিদ্ধ গাইনোকোলজিস্ট ডক্টর প্রণব দাশগুপ্ত, এছাড়া পরিচালক ও প্রযোজক জয়গাঙ্গুলী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উন্নতপ্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি এবং অবশ্যই উচ্চশিক্ষা দাঁতের চিকিৎসাকে যন্ত্রণাহীন করে তুলেছে।বর্তমানে এই চিকিৎসায় কোনরকমযন্ত্রণা বা অসুবিধা কোনরোগেরই হয় না আরযদিও বা সেটা কোনরকম হয়েও থাকে তাহলে সেটি অত্যন্ত সমালোচনামূলক পরিস্থিতির শিকার।আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছেন যারা দন্ত চিকিৎসকের ব্যাপারে ঠিকমত অবগত নন।চিকিৎসা শাস্ত্র বলতে এখনো অনেকেই শিশু চিকিৎসক,হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, মনোবিদ বা স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ এই ধরনের কিছু বিশেষ ডাক্তারবাবুদের সম্পর্কে অবগত।একজন ভালো দন্ত চিকিৎসকের মূল লক্ষ্য, একজন অসুস্থ রোগীকে সঠিক পথেরদিশা দেখানো এবং যখনই কোন সমস্যার সুত্রপাত হবে তখনই কোন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নেওয়ার বা সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য উপদেশ প্রদান করা। এছাড়াও যে কোন অসুখ যাতে সমূলে নির্মূল করা যায়, বা বলা ভালো অংকুর এই বিনষ্ট করা যায় সেদিকেও লক্ষ্য থাকে। ডক্টর মুন চট্টরাজ বলেন -‘তিন বছর বি ডি এস অর্থাৎ দন্ত চিকিৎসার বিষয়ে পড়াশোনা করার পর সমবেত হয়ে কাজ করাটা খুব জরুরী। প্রতিটা ডাক্তার তাঁদের ১০০শতাংশ দিয়ে কাজ কাজ করেন। কিন্তু, রোগীদের মধ্যে একটা অদ্ভুত আতঙ্ক কাজ করে এই চিকিৎসা সম্পর্কে যা বর্তমানে প্রায় হয় না বললেই চলে। খুব সতর্কভাবে এবং খুব যত্নসহকারেই এর চিকিৎসা করা হয়। এনেস্থিসিয়া এবং ফোর কনসিয়াস সিডিশন এর মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে এবং যন্ত্রণা হীন হয়েছে।আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ এর এই রুট ক্যানেল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আছে।রুট ক্যানাল একটি খুব যন্ত্রণাদায়কচিকিৎসা পদ্ধতি কিন্তু, বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত যন্ত্রপাতিরমাধ্যমে এটি একদমই সহজ হয়ে গেছে। এই চিকিৎসায় না আছে কোনরকম অসুবিধা এবং না পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। মাত্রকিছুক্ষণের মধ্যেই এই সম্পূর্ণ চিকিৎসাটি সম্পন্ন করা হয়।।উন্নতপ্রযুক্তি , হার্ড টিস্যুলেজার ব্যবহৃত হয়। কোনড্রিল বা অজ্ঞান করাহয় না। এমনকিএপেক্স লোকেটর যা (আমরাজানি বর্ধিত রুট ক্যানেল এবং এক্সরে এর প্রয়োজনীয়তা) উন্নতপ্র যুক্তির এবং অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারা সমগ্র রুট ক্যানেল চিকিৎসাটি করা হয়। এমনকি বর্তমানে অজ্ঞান করার জন্য কোন ইনজেকশন দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র কোন ওষুধ বাস্প্রে প্রয়োগ করা হয়।যার মাধ্যমে নিমেষের মধ্যে সেই জায়গাটি অসার হয়ে যায় এবং খুব সহজেই যন্ত্রণাহীনভাবে চিকিৎসাটি করা হয়। তবে এই সাধারণ অজ্ঞান করার বিষয়টি একান্তই বিবেচনা মূলক। যেকোন রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসাপদ্ধতি কি হবে সেটা রোগীর রোগ নির্ধারণ করার পরেই বিবেচনা করা হয়।বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষই নিজের স্বাস্থ্যসম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।তাঁরা দাঁতের চিকিৎসার ব্যাপারেও সচেতন। প্রত্যেকেই তাদের সুন্দর বহু মূল্যহাসিটি যত্ন করেই রাখতে চান। আর, সুন্দর হাসি যত্ন করে রাখার জন্য পুরনো ধ্যান-ধারণা ছেড়ে নতুন পথে নতুন চিকিৎসাপদ্ধতিকে আপন করে নিতে সম্মত হয়েছে। দাঁতের চিকিৎসা মানেই দাঁতের মধ্যে কোনরকম ধাতব জিনিস বা অন্য কিছু দিয়ে সেটিকে মেরামত করা নয়। বর্তমান দাঁতের চিকিৎসা অনেক বেশি।সারিবদ্ধ এবং সুসংবদ্ধ ভাবেকরা হয়। যা অত্যন্ত নান্দনিক এবং বাহ্যিক দিক থেকেও সুদৃশ্য । বর্তমানে যেকোনো রোগীর চিকিৎসা শুরুতেই তার রোগের সম্পর্কে বা। বাএটি কোনখানে পৌঁছে বিশ্লেষণ উন্নত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করা হয়।এছাড়াও কম্পিউটারের মাধ্যমে স্ক্যান করে তার চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করা হয়। যদি মুক্ত ছড়ানো হাসি চান যদি যন্ত্রণা হীন চিকিৎসা পেতে চান, তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করতে পারেন চিকিৎসা কেন্দ্রে। যার ঠিকানা হলো- ডক্টর মুন চট্টরাজ ডেন্টাল ক্লিনিক তৃতীয় তল, ৯৭এ সারদানএভিনিউ। কলকাতা। এখানে আছে মুক্তঝরানো হাসির চাহিদা পূরণ।দাঁত স্ক্যান ও মডেল ।একগুচ্ছফটো ও মডেলের ব্যবহার। প্রত্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসা। নতুন নতুন দাঁতের সেটিংকরা এবং নিয়মিত পরিচর্যাকরা। নতুনদাঁত লাগানোর পর কাজ এরকম পরিচর্যা করানো হয় দেখবে করানো হয় ঠিক সেইরকমই বা কয়েক বছরপর এদিকে পাল্টানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তারও ব্যবস্থা আছে। তবে এই পুরোটাই আপনাকে একবার অনুশীলনের মাধ্যমে দেখানো হবে যারফলে আপনি খুব সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য।আপনার বহু কাঙ্খিত মুক্ত ঝরা হাসি আপনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উপহার পেয়ে যাবেন। চিকিৎসারএই নবতম পদ্ধতি এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার প্রত্যেকটি রোগীকেই নতুন পথের দিশা দেখাবে এবং অবশ্যই চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নত হওয়ার জন্য তারা খুব সহজেই রোগ থেকে মুক্তি পাবে। তাহলে আর দেরি কিসের?আপনাদের যদি কোন রকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এখনইএই চিকিৎসা পদ্ধতি পরখ করে দেখতেই পারেন।