|
---|
সংবাদদাতা : শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করার পরও সমস্যা মাধান হয়নি বলে অভিযোগ জানান।ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্টে তার কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না দেখে ফের বাড়তে থাকে শিক্ষক বিদ্রোহ৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে জেলায় জেলায় ডিআই অফিসে ডেপুটেশন দেওয়ার পর এবার টানা তিন দিন শহিদ মিনারের পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হলেন শিক্ষকদের একাংশ৷ কেন এই আন্দোলন? এর কারণ হিসেবে শিক্ষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী টিজিটি ও পিজিটি ক্যাটাগরির শিক্ষকদের ব্যাসিক পে’র মধ্যে পার্থক্য থাকার কথা ২৭০০ টাকা৷ কিন্ত বর্তমানে এই রাজ্যে সেই পার্থক্য ১০০০০ ছুতে চলেছে৷ শিক্ষক সংগঠনের দাবি, রাজ্য সরকার গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের পাস ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে রাখায় এই পার্থক্য বেড়েই চলেছে৷ গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের টিজিটি স্কেল না মিটিয়ে ষষ্ঠ পে কমিশন কার্যকর হওয়ায় সেই পার্থক্য আরও বেড়ে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা শিক্ষকদের৷ এই বেতন বঞ্চনার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের মামলা দায়ের ও রায় ঘোষণার পরও সমস্যা সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের৷ হাইকোর্টের তরফে টিজিটি স্কেল মেটানোর নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায় মেনে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য মেটাচ্ছে না বলেও অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনের৷ আর তার জেরেই ফের বিদ্রোহ শিক্ষকদের৷ এই প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের আশা, মুখমন্ত্রী আমাদের সভায় এসে গ্রাজুয়েট শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে পে স্কেলের সমস্যার সমাধান করবেন৷’’