মমতা-অভিষেকদের এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল, নবান্ন অভিযানের ডাক শুভেন্দু-কৌস্তভের

দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। একদিকে বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হয় ২০০৯ সালের টেট উত্তীর্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস চত্বরে জড়ো হয়েছেন গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মিছিলে যোগ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি।

     

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একজোট হয়ে নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা করতে হবে। সেখানে ডিএ আন্দোলনকারীদেরও যোগদান করার আবেদন জানাবো। ১ লক্ষ মানুষ নিয়ে নবান্ন থেকে হিসাব বুঝে আসতে হবে। দেখি ওদের কত পুলিশ, কত গুলি, কত কাঁদানে গ্যাস আছে।”

     

    তিনি আরো বলেন, “রাজ্যটাকে বাঁচাতে গেলে যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছেন, তাঁদের পথে নামতে হবে। আজকে ভাইপোকে নিরাপত্তা দিতে ২০০০ পুলিশ আর ২০ জন IPS মাঠে নামাতে হয়েছে। কলকাতা ওদের জমিদারি নাকি যে কালীঘাটে মিটিং করতে দেবেনা, হাজরায় মিটিং করতে দেবেনা, ক্যামাক স্ট্রিটে হাঁটতে দেবেনা? এই রাস্তা ওদের বাপ – ঠাকুরদা তৈরি করেছে? পুলিশকে বাদ দিলে এই সরকারের অস্তিত্ব শূন্য।”

     

    অন্যদিকে এদিন কৌস্তভ বাগচী বলেন, “না উঠছে কংগ্রেস জিন্দাবাদ স্লোগান, না উঠছে বিজেপি জিন্দাবাদ স্লোগান। নিশ্চিতভাবে, যদি এখানে বিজেপির পতাকা থাকত তাহলে আমি আসতাম না, কংগ্রেসের পতাকা থাকলে  শুভেন্দু অধিকারী আসতেন না। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, দাবিটা অরাজনৈতিক এবং ন্যায্য দাবি। বেকার ছেলে-মেয়েগুলোর তাগিদে আমাদের এখানে আসা। এগুলোর কিছুর প্রয়োজন পড়ত না, সরকার বলে দিকে চাকরি দিয়ে দেবে। সরকারের তরফেও কেউ যদি মিছিলে এসে হাঁটে এবং বলে চাকরি দিয়ে দেবে আমি তাতেও খুশি।”

     

    তিনি আরো বলেন, “এখন আমরা চাইছি, যেসব অরাজনৈতিক সংগঠনগুলি আছে সবাইকে একছাতার তলায় এনে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করে হয় নবান্ন অভিযান, নয়তো কালীঘাট অভিযান…এই ধরনের কিছু একটা করার চিন্তাভাবনা করছি। অনেক বড় কিছু অপেক্ষা করছে। সরকার যদি এই দাবি-দাওয়াতে সাড়া না দেয় কলকাতায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করে এই দাবি কীভাবে ছিনিয়ে নিতে হয় সেটা সরকারকে বোঝাব। আমি তো বারবার বলছি, বঞ্চিতদের ডাকে আমি সবসময় ছিলাম, আছি, থাকব। সর্বত্র আছি। আমার কোনও ছুৎমার্গ নেই। বাংলার নিপীড়িত মানুষের স্বার্থে আমার কোনও রাজনৈতিক ছুৎমার্গ নেই। আমার কাছে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর তাগিদ অগ্রাধিকার পায়।”