|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্কঃ রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন, মানুষের সুখ-দুঃখের খবরের বোঝা বয়ে সে পৌঁছে দেয় দোরে দোরে কিন্তু তার খবর কে রাখে??
অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারত হাওড়ার তরুণ সাংবাদিক অরিন্দম। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছিল সে “সাংবাদিকতার”। শত দারিদ্রতা কে উপেক্ষা করেও মন থেকে ভালোবেসে নিজের সন্তানের মত প্রতি পালন করত সাংবাদিকতাকে। কিন্তু অবশেষে মনের সাথে লড়াই করে শেষ হলো এ বোঝা টানার। সাংবাদিকতাকে শুধু ভালোই বেসে গেল শুধুমাত্র পারল না জীবিকা করতে কোন দিন। বহু জন সমাদৃত “সাংবাদিক” শব্দটি এবং সাধারন মানুষের বাহবা মনের ক্ষুধা মিটালেও বাস্তবে পারিবারিক পেটের খিদে মেটে না।
শুধু অরিন্দম নয় বিভিন্ন পোর্টাল ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া প্রিন্টিং মিডিয়া নিঃশব্দে কাজ করে যাওয়া হাজারো প্রতিভাবান নতুন সাংবাদিকবন্ধুরা ধুঁকছেন এই মারণ রোগে। শত প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খবর সংগ্রহ করে, রাত জেগে তা শৈল্পিক রূপ দান করে পরের দিন সকালে হাজারো-লাখো সাধারণ মানুষের মনের কৌতূহল অবসান করে ঠিকই কিন্তু অবশেষে সাংবাদিক বন্ধুর বাজারের খালি ব্যাগ, মুদি দোকানের ধার, মা বাবা স্ত্রী পুত্রের সাথে দিনের পর দিন দারিদ্রতা ঘোচানোর বৃথা আশা, কাল্পনিক সফলতার মন গড়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শত জীর্ণ পরিবার তালি মেরে চালানো অভিনয়।
এ নতুন কিছু নয় পূর্বেও ছিল বর্তমানেও আছে শুধুমাত্র সাংবাদিকবন্ধুদের সংখ্যার পার্থক্য হয়েছে। সেসময় সংবর্ধনা আর সম্বোধন মূলক কিছু শব্দ আর বর্তমানে লাইক আর কমেন্টের ঝড়।