|
---|
সেখ মহম্মদ ইমরান,নতুন গতি,মেদিনীপুর:-চুল দান! তাই আবার হয় নাকি?হ্যাঁ হয়। শ্রেয়া মিশ্র ও শ্রমনা মাঝি থাকলে হয়।সোশ্যাল মিডিয়া ,ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের যুগ এখন । বর্তমান প্রজন্ম যে দিনের বেশিরভাগ সময় বুঁদ হয়ে থাকে নেট দুনিয়ায়, তার কুপ্রভাব নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন কিন্তু মেদিনীপুরের দুই পড়ুয়ার কাহিনী অন্যরকম। ক্যানসার চিকিৎসা চলাকালীন রেডিয়েশন আর কেমোথেরাপি নিতে নিতে নেতিয়ে পড়ে মানুষগুলো, চামড়া থেকে একে একে উঠে যায় চুল, সেসব ওদের জানা ছিল। তবে ক্যানসার রুগীদেরকে চুল দান করা যায়, সেটা ওরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে জানতে পারে।
আর তখনই ওরা সিদ্ধান্ত নেয় তারাও চুল দান করবে। শ্রেয়া মিশ্র ও শ্রমনা মাঝির বলেন, যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে জানতে পারি চুল দান করা যায় তখন একপ্রকার চুল দান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ-ছয় মাস টানা শ্যাম্পু-তেল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করে চুল বড়ো করি এবং বাড়তি অংশটি Madat Trust, 15 Ujagar Industrial Estate, Waman Patil Marg, Deonar, Mumbai 400071 এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিই। শ্রেয়া মিশ্রার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না।শ্রমণা মাঝির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর।
দুজনই মেদিনীপুর কলেজ (স্বশাসিত) থেকে ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে এই রকম মানবিক মূল্যবোধ দেখে।