মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় প্রশাসনের তৎপরতায় আবারও নাবালিকার বিয়ে আটকালো কন্যাশ্রী যোদ্ধারা

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় প্রশাসনের তৎপরতায় আবারও নাবালিকার বিয়ে আটকালো কন্যাশ্রী যোদ্ধারা

    আলম সেখ, নতুন গতি, ভগবানগোলা : নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে আটকানোর জন্য একটার পর একটা উদ্যোগ নিয়েই আসছে রাজ্য সরকার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী যুবশ্রীর মতো প্রকল্প বানিয়েছে সরকার, শুধু মাত্র মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। বাল্য বিবাহের কারণে অনেক রকম কষ্ট সইতে হয় মেয়েদের, অল্প বয়সেই সন্তানের মা হয়ে যায় তার উপর সিজার করে। পড়া শোনা করতে চাইলেও সমাজের দোহাই দিয়ে বিয়ে দিয়ে দেই গ্রাম্য এলাকার মানুষেরা।

    অল্প বয়সি মেয়ে তাই কারো মুখের উপর কথা বলতে পারেনা বা পিতা মাতার দারিদ্রতার দিকে তাকিয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। তাছাড়া গ্রাম্য এলাকায় বাল্য বিবাহের প্রধান কারণ হলো প্রতিবেশীরা। মেয়ে যখনই ১৩ – ১৪ বছর বয়স হয়ে যায় তখন মেয়ের পিতা মাতাকে অনেক রকম কথা শোনাতে লাগে এই গ্রাম বাসিরা, প্রধান যেই কথাটা বলে – মেয়েকে অতোটা পড়া শোনা করিয়ে কি করবা, করবে তো সেই সশুর বাড়িতে কাজই, তার উপর সমাজের অবস্হা ভালো না, সবাই খারাপ নজরে তাকাবে। এই রকম কথা বার্তা বলে বাধ্য করে বাচ্চা মেয়ের বিয়ে দিতে। এই রকমই একটা ঘটনা ঘটলো মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়।

    বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থামার শংকরপুর গ্রামের গঙ্গাপ্রাসাদ হাই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্য অবস্থায় বিয়ের দিয়ে দিচ্ছিলেন। বিয়ের দিনও নির্ধারিত ছিল বুধবার। গোপন সূত্রের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় সেই বিবাহ কে আটকানো কন্যাশ্রী যোদ্ধারা। প্রশাসন ও কন্যাশ্রী যোদ্ধারা সরাসরি মেয়ের বাড়ি পৌঁছে যায়, সাথে সাথে গ্রাম বাসিরাও জমা হয়ে যায়। প্রশাসন, কন্যাশ্রী প্রকল্পের লোক ও গ্রাম বাসির সামনে লিখিত ভাবে মেয়ের মা জানান যে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না।