গঙ্গার চরে অসহায় দুস্থ গরিব ভাঙ্গনে আক্রান্তদের খাওয়ার পৌঁছে দিচ্ছেন মিলিয়ন মিলস ‘আজমল ফাউন্ডেশন’

গঙ্গার চরে অসহায় দুস্থ গরিব ভাঙ্গনে আক্রান্তদের খাওয়ার পৌঁছে দিচ্ছেন মিলিয়ন মিলস ‘আজমল ফাউন্ডেশন’

    নতুন গতি, মোথাবাড়ি: লকডাউন আমফান ঝড়ে বিপর্যস্ত গঙ্গার মাঝে বসবাসকারী ভাঙনাক্রান্ত বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ালো মিলিয়ন মিলস ও আজমল ফাউন্ডেশন। মূলত আজমল ফাউন্ডেশন এর পশ্চিমবঙ্গের কর্ণধার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই ত্রাণ বিতরণ শিবির। গঙ্গার চরে ভাঙনাক্রান্ত মানুষেরা এমনিতেই বিপর্যস্ত। অর্থনৈতিকভাবে বিকলাঙ্গ। মূলত তারা নেই রাজ্যের বাসিন্দা। রাস্তাঘাট পানীয় জল বিদ্যুৎ স্বাস্থ্য কোন পরিসেবায় তারা সঠিকভাবে পাইনা। সম্প্রতি আমফানে তাদের অনেকেরই ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখনো চরবাসীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন আজমল ও মিলিয়ন মিলস। শুক্রবার সকালে মূলত তৃণমূল নেতা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে মিলিয়ান মিলস ও আজমল ফাউন্ডেশন এর কর্মীরা গঙ্গা পার হয়ে চরে এসে উপস্থিত হয়। এদিন মূলত চর এলাকার গোলঢাবের চরে ৪০০ জন চরবাসীদের ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
    মূলত ঈসা ও আজমল ফাউন্ডেশন’ নামে দুটি সংস্থার সাহায্যার্থে নজরুল বাবু এই ত্রাণ কার্য চালাচ্ছেন। নজরুল ইসলাম চরবাসীদের হাতে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারের হাতে 20 কেজি চাল, 2 কেজি মসুর ডাল, 2 কেজি ছোলা, 2 কেজি চিনি, 1 কেজি খেজুর, 2 কেজি সরিষার তেল বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বিগত দিনে মালদার জেলার বিভিন্ন অঞ্চল সহ মোথাবাড়ি বিধানসভার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত তিনি ৩০ হাজার পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে আজমল ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে জানিয়েছেন।

    মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “‘গঙ্গার চরে ভাঙনাক্রান্ত মানুষেরা এমনিতেই বিপর্যস্ত। অর্থনৈতিকভাবে বিকলাঙ্গ। মূলত তারা নেই রাজ্যের বাসিন্দা। রাস্তাঘাট পানীয় জল বিদ্যুৎ স্বাস্থ্য কোন পরিসেবায় তারা সঠিকভাবে পাইনা। সম্প্রতি আমফানে তাদের অনেকেরই ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখনো চরবাসীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন আজমল ও ঈশা ফাউন্ডেশন। ”
    নজরুল ইসলাম আরো জানান, “প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র রমজান মাসে দুঃস্থ মানুষের পাশে আমরা খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গেছি। যদিও এবছরে কোভিড-১৯ মহামারী ও লকডাউন এর পরিপ্রেক্ষিতে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ তাই রমজান পরবর্তী সময়েও আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি। এযাবৎ ৪ সপ্তাহ ধরে আমরা ২০টি ক্যাম্প করে ৩০ হাজার দুঃস্থ মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছি। পরবর্তীতে আরো ক্যাম্প রয়েছে। মালদা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই কাজ চলছে।