কেশপুরে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন, শতাধিক বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে

 সেখ ইমরান, নতুন গতি,মেদিনীপুর:-
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙন। কেশপুর বিজেপির মন্ডল সভাপতি সেখ সেলিম তাঁর শতাধিক অনুগামীকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ মেদিনীপুর জেলা অফিসে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি ও কেশপুরের বিধায়ক শিউলী সাহার হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে দলে যোগদান করেন।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান দিনেন রায়, জেলা সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ রফিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। যোগদান করার পর বিজেপির নেতৃত্ববৃন্দের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে সেখ সেলিম জানান, বিজেপি দলে যোগ্য নেতার অভাব। ওরা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। ওরা মানুষের পাশে থাকেন না। নেতৃত্ববৃন্দ নিজেদের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।” বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে কেন যোগদান করেন সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। তাই জন্য ওরা অগণতান্ত্রিক অসংবিধানিক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে একটি বিশেষ জাতিকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন। আমরা সেই সম্প্রদায়ের লোক হয়ে বিজেপি দলটা কোনো ভাবেই করতে পারব না। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর কেশপুরে গেরুয়া শিবিরের বিশেষ মুখ হয়ে উঠেন সেখ সেলিম। বোমা গুলির মামলায় পাঁচ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত। এছাড়াও কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ “দাপুটে” তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সেখ আলহাজুদ্দিন লোকসভা নির্বাচনের পর গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেও পুনরায় নিজের ভুল বুঝতে পেরে আজ “ঘর ওয়াপসি” হলেন। তিনটি উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের গো হারার পর বিজেপি কর্মী সমর্থকের মনোবল ভাঙতে থাকে। কেশপুর গেরুয়া শিবিরের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী আইন। কেশপুরের বিধায়ক শিউলী সাহা বলেন, বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক দল।যারা মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করেন। ওইরকম দলে কোনো সচেতন ব্যক্তি থাকবে না। যারা এখনও আসেনি তারা মমতা ব্যানার্জির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পুনরায় উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ করবেন।