কোনো রকম অশান্তি ছাড়াই সম্পন্ন কেশপুরের মনোনয়ন, হতবাক বিরোধীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা :একসময়ের খবরের শিরোনামে থাকা কেশপুর । ছিল লালদূর্গ।পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটিতে কান পাতলেই শোনা যায় ‘শাসক দল যেদিকে কেশপুর সেদিকে’। ১৯৮২সাল থেকে সিপিএমের “গড়” কেশপুর। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে পালাবদলের হাওয়া বইলেও কেশপুর বিধানসভা আসনে রামেশ্বর দোলুইকে জিতেছিল বামেরা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই লালমাটিতে ঘাসফুলের দাপট দেখা গিয়েছিলো। ২০২১ সালের নির্বাচনেও তৃণমূল কেশপুর বিধানসভা জিতলেও জয়ের মার্জিন কমে যায়। ২০১৮ সালে কেশপুরে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা কিন্তু ২০২৩-এ সে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গেল কেশপুরে।

    বিজেপি কংগ্রেস সিপিএম সকলেই কোনরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই মনোনয়ন জমা করল। বামেরা প্রার্থী দিতে না পারার কারণ হিসেবে এতদিন তারা তৃণমূলের সন্ত্রাসকে দায়ী করে আসলেও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কেসপুরে হিংসার লেশমাত্র নেই। কেশপুরে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ৩০৫টি। সিপিএম মাত্র২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬২টি আসনে। কেশপুরের মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮টি একক ভাবে দখল করে নিলো তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি আসন গুলোও তৃণমূলের বোর্ড গঠন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এছাড়াও, কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৪৫ টি আসনের মধ্যে ১৯টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।