কেওটালিতে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের হিংসা বিরোধী সমাবেশ।

সংবাদদাতা : উত্তর চব্বিশ পরগনার তরণীপুর সংলগ্ন কেওটালিতে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ডাকে এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক জনাব মাওলানা কামরুজ্জামান, বসিরহাট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আহসানুল্লাহ, আইনজীবি আব্দুল হান্নান, সিরাতের রাজ্য সম্পাদক ও কাটিয়াহাট আল হেরা মিশনের ডাইরেক্টর আবু সিদ্দিক খান, শিক্ষক আলি আকবর, সমাজসেবী আবুল কাসেম, সঞ্চালক সৌরভ সেখ প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাহেব বলেন, ১৩০ কোটি মুসলিমের নয়নের মণি, আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন জনাবে রসুলল্লাহ (সঃ)র ও তাঁর স্ত্রীর তথা আমাদের আম্মাজান হজরত আয়েশা রাঃ এর সম্পর্কে যে নোংরা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা, তার প্রতিবাদে এই সমাবেশ। আমরা তার অবিলম্বে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ও গ্রাপ্তার চাই। নইলে আমাদের আন্দোলন আরো জারদার হবে ইনশাআল্লাহ।

    বিশিষ্ট আইনজীবী জনাব আব্দুল হান্নান বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আজও পর্যন্ত দেশের সুনাগরিকদের জন্য একটাও গঠন মুলক কাজ করেনি,দেশকে দিনের পর দিন রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। নোট বন্দী, অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা, তালাক বিল, বাবরি মসজিদ দখল, হিজাব ইত্যাদি বিষয়ে মানুষকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছেন। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
    সিরাত সম্পাদক আবু সিদ্দিক খান বলেন, আমাদের একের পর এক, সব কেড়ে নিয়েছেন মোদিজী,তবুও মুসলমানরা তেমন কিছু বলেনি, সেইভাবে প্রতিবাদ সভা করেনি কিন্তু যে নবীকে সৃষ্টি না করলে পৃথিবীই কোন কিছুর সৃষ্টি হতো না, সেই নবী মোহাম্মদ সঃ কে, আপনার রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল যে ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করেছে তাতে কেউ আর বাড়িতে বসে নেই, অধিকাংশ দেশের জাতি ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শুধুতাই নয়, সেই দেশ গুলো ভারতীয় পণ্য বয়কট করেছে। যার ফলে ভারতীয় অর্থনীতি অবস্থা আজ সঙ্কটজনক। আপনি এখনো যদি বিশ্বের দরবারে ক্ষমা না চান এবং নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তার না করেন তাহলে আগামীদিন পরিবেশ পরিস্থিতি ভয়ংকরূপ নিতে পারে।