|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রায়ই ঝগড়াঝাটি চলত দম্পতির৷ রবিবার রাতে তেমনই চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছিল৷ কিন্তু, কে জানত, এর মধ্যেই বীভৎস কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন স্বামী৷ ঝগড়ার মাঝখানে স্ত্রীয়ের মাথায় কষিয়ে দিলেন হাতুড়ির ঘা৷ সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত স্ত্রী লুটিয়ে পড়ল মাটিতে৷ সারারাত সেভাবেই সেখানে পড়ে রইল দেহ৷ শুধু রক্ত যাতে না গড়িয়ে যায়, সেজন্য স্ত্রীয়ের থেঁতলানো মাথা প্লাস্টিকের উপরে সযত্নে রেখে দিলেন স্বামী৷ পাশে রাখলেন প্লাস্টিকের গামলা৷ যাতে রক্ত সেখানেই চুঁইয়ে পড়ে৷ ঘরে-দোরে না গড়িয়ে যায়৷
গত রবিবার বীভৎস এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার নারায়ণপল্লিতে। কিন্তু, সোমবার সকাল পর্যন্ত খুনের কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি পাড়ার লোক৷ কারণ, অভিযুক্ত তো দিনের আলোয় দিব্যি ঘুরে বেরিয়েছেন পাড়ার মধ্যে৷ এক সময় অবশ্য নিজেই অন্য ভাড়াটে কে চুপিচুপি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তার পর ওকে মেরে ফেলেছি৷’’স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত রাহুল কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী সোনালি নারায়ণপল্লিতেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন৷ তাঁদের একটি সাত বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে৷ কিন্তু, রাহুল ক্রমাগত সন্দেহ করতেন, তাঁর স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্ক আছে৷ এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত৷ রবিবার রাতেও তেমনই ঝগড়া বাঁধে দু’জনের মধ্যে৷ তাতেই এই পরিণতি৷অভিযুক্তের মুখে স্ত্রী হত্যার কথা শুনতেই পাড়ায় হুহু করে রটে যায় ঘটনার কথা৷ পৌঁছয় পুলিশের কানেও৷ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাটিগাড়া থানার পুলিশ৷ পৌঁছন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যেরাও। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সোনালির দেহ৷খানিক খোঁজাখুঁজির পরে গ্রেফতার করা হয় স্বামী রাহুল কুণ্ডুকে৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিক জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত।