কিসানগঞ্জের এক নিখোঁজ বৃদ্ধাকে তার বাড়ি পৌছাতে সহযোগীতার হাত বাড়ালো কালিয়াচকের যুবকরা

 

    কালিয়াচক নতুন গতি:গতকাল দুপুর ঠিক ১টা নাগাদ সুজাপুরে এক বৃদ্ধ লোক পোশাকে ও পুরো শরিরে ধুলো মাখা অবস্থায় দেখতে পান সুজাপুরের বাসিন্দা কামাল হাসান। সুজাপুর ট্রাফিকে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর আফাজুল হক। সেই বৃদ্ধ মানুষের পরনে ছিল একটা সাদা পাঞ্জাবি ও লুংগি। লুংগি ছেড়া ও কাদামাটি পাঞ্জাবিটাও সেই একইরকম অবস্থা। মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে চোখে ঘুম নাই, খাওয়া নাই, শরিরে শক্তি নেই একদম। কামাল হাসান ও পুলিশ অফিসার কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। কামাল হাসান তখন কালিয়াচকের নতুন আলো বলে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্মাতা কে ফোন করেন “একজন বয়স্ক মানুষ বয়স আনুমানিক ৭০হবে। সুজাপুরে আমাদের তত্বাবধানে রয়েছে , দ্যাখো যদি কিছু করা যায় কি না”।আলমগীর খান জানত চান “উনার কাছে কি কোনো ডকুমেন্টস আছে”? কামাল বলেন “হ্যা আছে”! কামাল আলমগীর কে সব ডকুমেন্টস পাঠান, উনার ব্যাগে আধার কার্ড পাওয়া ঠিকানা হালদিখোড়া, কিসানগঞ্জ এর।কিছুক্ষন পর সুজাপুর ট্রাফিকে কর্মরত অফিসার সাব ইন্সপেক্টর আফাজুল বাবুও আলমগীর কে ফোন করেন, “আলমগীর বাবু দেখুন কিছু করা যায় কি না”।আলমগীর সুজাপুর আসবে বলে জানাম। তৎক্ষনাৎ আলমগীর ও নতুন আলোর সহ সভাপতি সুশিল সাহানাওয়াজ বেড়িয়ে পরে সুজাপুর এর উদ্দেশ্যে।পৌছিয়ে তারা কামাল হাসান ও আফাজুল বাবুর সাথে কথা বলে তারপর সাবিরুল ইসলাম কে কালিয়াচক নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করেন। কালিয়াচক নিয়ে এসে সাবিরুল ইসলাম কে স্নান করিয়ে তার পরনে নতুন পোশাক পরিয়ে দেন। স্নান করিয়ে হাসপাতাল নিয়ে যান যেহেতু সাবিরুল বাবু অসুস্থ ছিল অনকটাই। ডাক্তার এর সাথে কথা বলে কিছু অসুধ দিয়ে নিজের তত্বাবধানে রাখেন। আলমগীর খান সোস্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেন এবং তারপর আলমগীরবাবু জানান আমাদের ” বিহারের পূর্ণীয়াই রক্ত নিয়ে মানব সেবা করেন পাওয়ান কুমার চৌধুরি উনার সাথে কথা বলি। দাদা আমাকে বললো কিছুক্ষন সময় দাও আমি আমাদের কিসানগঞ্জের টিম এর সাথে কথা বলছি। তার আগে আমাদের সাথে আর এক ভদ্রলোক আজয় দা আমাদের ভিডিও দেখে আমাদের পেজ কালিয়াচক আমাদের গর্ব তে। সাথে সাথে কনট্যাক্ট করেন আমাদের সাথে উনি বলেন উনার বাড়ি থেকে চাচা সাবিরুল ইসলাম এর বাড়ি দুরত্ব ৪০ কি.মি।অজয় দা পেশায় ড্রাইভার, দাদা তার কিছু পরিচিত ড্রাইভার কে ফোন করে খোজ নিতে বলেন। সেই মতো পাওয়ান দা উনার ছেলে নাম্বার আমাকে পাঠায় ও অজয় দা বলেন তার বাড়ির লোক কে নিয়ে আমি আসছি (দাদা নিজের আর ভাড়া ক্যান্সেল করে) চাচার ছেলে ও আর দুই জন কে নিয়ে বেড়িয়ে পরে মালদার কালিয়াচকের উদ্দেশ্যে।আমাদের পুরো টিম হাসপাতালে বসে সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে। কি হয়েছে মানুষটার? আমরা ব্যাপারটা খুলে বলি তখন তারা বলেন খুব ভালো করেছো, তোমরা খেয়ে আসো আমরা দেখছি, আমরা বললাম যতক্ষণ না উনাকে বাড়ি পাঠিয়েছি ততক্ষণ খাওয়ার ঢুকবে না। ঠিক রাত প্রায় ১২ টা নাগাদ হাসপাতালে এসে পৌছায়।তারপর বাবা ছেলে কে চিনতে পারে। আমাদের সকলের মনে ছিল খুশির মেজাজ। কথা হলো চা খেলাম সকলে একসাথে রাত তখন ১ টা চাচা কে নিয়ে রওনা হয় অজয় দা-রা। রাত ২ টোর সময় নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যায় আমরা। পরিমসাপ্তি ঘটলো এক ঘটনার। আট দিন পর ফিরে পেয়েছে উনার পরিবার চাচা কে”।