কলকাতা হাইকোর্ট গ্রন্থাগারিকের ৩০ বছরের বেতনের বাড়তি টাকা ফেরত চেয়েছিল রাজ্য, খারিজ করল আদালত

নিজস্ব সংবাদদাতা : যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এক গ্রন্থাগারিককে বাড়তি বেতন দেওয়া হচ্ছিল ৩০ বছর ধরে। এমনই দাবি জানিয়ে ওই গ্রন্থাগারিককে দেওয়া সেই বাড়তি বেতন ফেরত চেয়েছিল সরকার। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সরকারের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। গ্রন্থাগারিক মঞ্জুলিকা গোস্বামীর করা মামলার ভিত্তিতে এই আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।মামলার বয়ান অনুযায়ী, মঞ্জুলিকাদেবী ১৯৭৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৮৪ সালে লাইব্রেরি সাইন্সে ডিপ্লোমা করেন। তার তিন বছর পর কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রে নাম লেখান। সেখান থেকেই কলকাতার একটি হাইস্কুলে গ্রন্থাগারিক পদের জন্য ইন্টারভিউ দেন। মোট তিনজন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। প্রথমজন গ্রন্থাগারিকের চাকরি না করায় মঞ্জুলিকাদেবী চাকরি পান। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকায় তিনি উচ্চতর বেতনও পাচ্ছিলেন। ১৯৯০ এবং ১৯৯৮ সালের রোপা ঘোষিত হলে তিনি অপশন জমা দেন। কিন্তু, ২০০৯ সালের রোপা ঘোষিত হওয়ার পর অপশন জমা দিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। বাংলার মুখ ঘরে বাইরে বায়োস্কোপ
মঞ্জুলিকা দেবী ১৯৭৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৮৪ সালে লাইব্রেরি সাইন্সে ডিপ্লোমা করেন। তার তিন বছর পর কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রে নাম লেখান। সেখান থেকেই কলকাতার একটি হাইস্কুলে গ্রন্থাগারিক পদের জন্য ইন্টারভিউ দেন।
যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এক গ্রন্থাগারিককে বাড়তি বেতন দেওয়া হচ্ছিল ৩০ বছর ধরে। এমনই দাবি জানিয়ে ওই গ্রন্থাগারিককে দেওয়া সেই বাড়তি বেতন ফেরত চেয়েছিল সরকার। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সরকারের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। গ্রন্থাগারিক মঞ্জুলিকা গোস্বামীর করা মামলার ভিত্তিতে এই আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, মঞ্জুলিকাদেবী ১৯৭৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৮৪ সালে লাইব্রেরি সাইন্সে ডিপ্লোমা করেন। তার তিন বছর পর কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রে নাম লেখান। সেখান থেকেই কলকাতার একটি হাইস্কুলে গ্রন্থাগারিক পদের জন্য ইন্টারভিউ দেন। মোট তিনজন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। প্রথমজন গ্রন্থাগারিকের চাকরি না করায় মঞ্জুলিকাদেবী চাকরি পান। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকায় তিনি উচ্চতর বেতনও পাচ্ছিলেন। ১৯৯০ এবং ১৯৯৮ সালের রোপা ঘোষিত হলে তিনি অপশন জমা দেন। কিন্তু, ২০০৯ সালের রোপা ঘোষিত হওয়ার পর অপশন জমা দিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।

    ২০১০ সালে জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, তিনি উচ্চতর বেতন পাওয়ার যোগ্য নন। নতুন করে তার বেতন ঠিক করতে হবে। তারপরেই কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানান মঞ্জুলিকাদেবী। কিন্তু, জানা যায় মঞ্জুলিকা লাইব্রেরি সাইন্সে স্নাতক ছিলেন না। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় উভয় পক্ষ। মঞ্জুলিকার আইনজীবী জানান, ১৯৮৩ সালের সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনও গ্রন্থাগারিক অন্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং লাইব্রেরি সাইন্সে ডিপ্লোমা থাকলেই উচ্চতর বেতন পাওয়ার যোগ্য। কার্যত ডিভিশন বেঞ্চ এই যুক্তিকে সম্মতি জানিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর অবসরের পাওনা টাকা কাটা যাবে না এবং ১৯৯৮ ও ২০০৯ রোপা অনুযায়ী তাঁর দেওয়া অপশন অনুমোদন করে দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।