প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর

নতুন গতি ওয়েব: প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। ১১ ই জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হন তিনি। ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক‍্যান্ডি হসপিটালে। বয়সের কথা মাথায় রেখেই আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সতর্ক ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সুরলোকে পাড়ি দিলেন সুর-সম্রাজ্ঞী।
১৯২৯-এ জন্ম লতা মঙ্গেশকরের। বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছে সংগীতে হাতেখড়ি। ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তারপর থেকে সংগীতই তাঁর সঙ্গী। তখন থেকেই শুরু গান গাওয়া। ১৯৪৫-এ চলে এলেন মুম্বই অর্থাৎ তৎকালীন বম্বেতে। এর কিছুদিন পরেই গুলাম হায়দারের সঙ্গে দেখা হল তাঁর। পরে এক সাক্ষাৎকারে যাঁকে ‘গডফাদার’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন লতা। হায়দার সাব ছোট্ট লতাকে নিয়ে গিয়েছিলেন তখনকার বিখ্যাত প্রযোজক শশধর মুখার্জির কাছে। তাঁর পছন্দ হয়নি লতার কণ্ঠ। মনে হয়েছিল, মেয়েটির গলা তেমন নয়। বিরক্ত হায়দার সাব সেদিন বলেছিলেন, একদিন এই কণ্ঠের জন্যই প্রযোজকদের লাইন পড়ে যাবে। অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়েছিল সে কথা। ১৯৪৮ সালের ছবি মজবুর-এ তিনি লতাকে দিয়ে গাওয়ালেন গান – দিল মেরা তোটা, মুঝে কহিঁ কা না ছোড়া। বাজিমাত হল সেই গানে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লতা মঙ্গেশকরকে। হায়দার সাব শুধু রত্ন চিনেছিলেন তা নয়, চিনেছিলেন কোহিনূর।