গ্রামের পূজো, পরিবার ছেড়ে অন্য কোথাও পূজার স্বাদ নিতে হয় ঢাকিদের

সেখ রিয়াজ উদ্দিন, বীরভূম: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গোৎসব, সেই উৎসবের প্রাক্কালে যখন প্যান্ডেলের ব্যস্ততা, লাইটের ঝকমকানি,মাইক বক্সের কলরব, প্রতিমা আনার হৈ হুল্লোড় , বাড়িতে বাড়িতে নতুন কাপড়ের সমাগম কিংবা আইসে লাড়ু তৈরীতে পাড়াময় একটা জমজমাট পূজা পূজা গন্ধ তখনই সমস্ত কিছুকে বিসর্জন দিয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে কোথাও বা অন্য জেলার আনাচে কানাচে তারা হচ্ছেন সব ঢাকির দল। হ্যাঁ,আজ বীরভূম জেলার লোকপুর থানার উত্তর পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষা ঝাড়খন্ডের সুদ্রাক্ষীপুর গ্রামের আনন্দ বাদ্যকর,রাজু বাদ্যকর,মিলন বাদ্যকর, তরুণ বাদ্যকর প্রমুখ ঢাকীরদল লোকপুর প্রতিক্ষালয়ে প্রতিক্ষারত বেনাচিতি বাসে চেপে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুর এলাকায় পাড়ি দেয়ার জন্য। বড়দের সাথে সাথেই ছোট ছোট বাচ্চাদের ও কাঁসি বাজানোর জন্য নিয়ে যাওয়া।বাসে চাপার মুহূর্তে ঢাকী আনন্দ বাদ্যকর এক সাক্ষাৎকারে তাদের জীবনের সুখ দুখ নিয়ে চলমান জীবন জীবিকা সম্পর্কে জানান যে এক সপ্তাহ পর বাড়ি ফিরে আসব, সাতদিনের মধ্যে সাত হাজার টাকা উপার্জন হয়। এলাকায় সে অর্থে ঢাকীর চাহিদা কম, রোজগার ও কম সেজন্য প্রতিবছর এই কয়েকটি দিন বাড়ীর সমস্ত কিছু ত্যাগ করে বাইরে ঢাক বাজিয়ে, পূজা দেখে এবং রোজগার করে এসে বৌ বাচ্চাদের নিয়ে পূজার স্বাদ মেটাবো।