দলের ‘ক্ষয়ক্ষতি’ মেরামত করতে প্রায়শই বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থসংগ্রহ করার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করে সিপিএম-সহ বামপন্থী দলগুলি

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত বিধানসভা ভোটের সময় ‘আলো’ কমে গিয়েছিল। এ বার কি ‘আলো’ ক্রমে আসিতেছে? খাতায়কলমে রাজ্য বিধানসভায় বামেদের খাতা খোলেনি। কিন্তু আগামী পঞ্চায়েত ভোটে কি পরিস্থিতির সামান্য হলেও পরিবর্তন হতে পারে? অন্তত হুগলির সিপিএম নেতৃত্বের তেমনই আশা। কারণ, তাঁদের কৌটোয় কোটি টাকা জমা পড়েছে।জনসমর্থন কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে বা দলের ‘ক্ষয়ক্ষতি’ মেরামত করতে প্রায়শই বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থসংগ্রহ করার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করে সিপিএম-সহ বামপন্থী দলগুলি। বিশেষত, ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরবর্তী পর্যায়ে সেই কর্মসূচিতে আরও জোর দিয়েছে সিপিএম। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের অবশ্য মত, স্থূল অর্থে ধরলে এই অর্থসংগ্রহ কর্মসূচি জনসমর্থন মেপে নেওয়ার একটি পরীক্ষা মাত্র। তবে সূক্ষ্ম অর্থে, ২০২১-এর বিধানসভার ভোটে পর্যুদস্ত রামশিবির থেকে কতটা সমর্থন বামশিবিরে আসতে পারে, তা মেপে নেওয়ার অন্যতম কৌশল।সম্প্রতি হুগলিতে এমনই কর্মসূচি চালিয়েছিল সিপিএম। জেলা নেতৃত্বের দাবি, গত ১ জুন থেকে হুগলি জেলার ১৮টি ব্লক, ২০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১২টি পুরসভা এবং একটি পুরনিগমের পাড়া-মহল্লায় এই অভিযান চালানো হয়েছিল। এক দিকে জনসংযোগ, অন্য দিকে দলের জন্য বিন্দু-বিন্দু করে অর্থ সংগ্রহ।