|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সোমবার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। নয়া রাজ্যপালের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছে হাওড়াবাসী। তাঁদের ধারণা, এবার নিশ্চয়ই হাওড়ার পুরভোট সংক্রান্ত ফাইলে রাজ্যপালের অনুমোদন মিলবে। ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভার ভোট করার ব্যাপারে নতুন করে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া পুরনিগমের ভোটে জেতে শাসকদল। মেয়র করা হয় বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তীকে। পরে তাঁর সঙ্গে নবান্নের দূরত্ব বাড়তে থাকে। রথীনবাবু এখন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। আড়াই বছর হতে চলল হাওড়া পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।ঠিক কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? হাওড়া পুরসভায় ৫০টির জায়গায় ৬৬টি ওয়ার্ড করতে চায় রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, তার জন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে না। হাওড়ার ভোট নিয়ে নতুন রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এই সরকারের আমলেই আগে হাওড়ার সঙ্গে বালি পুরসভা সংযুক্ত করা হয়েছিল। তারপর সরকার বালি পুরসভাকে ফের হাওড়া থেকে পৃথক করার কথা ঘোষণা করে। এই পৃথকীকরণ সঠিক নিয়ম মেনে হয়েছে কি না, তার জবাব–সহ ব্যাখ্যা চেয়ে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ফাইলের অনুমোদন স্থগিত রাখেন। তাই সরকার চাইলেও হাওড়ায় ভোট করা যাচ্ছে না বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, নতুন রাজ্যপাল হাওড়ার ভোট নিয়ে উদ্যোগী হবেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও তাঁর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলব। বিজেপি কী বলছে, না বলছে, তাতে কিছু এসে যায় না। ওরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়।’