|
---|
নতুন গতি ডেস্কঃ বিধান পরিষদ: বিধানপরিষদ রাজ্য আইনসভার একটি অঙ্গ। আইনসভা এক কক্ষ বা দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট হতে পারে। দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার উচ্চ কক্ষের নাম বিধান পরিষদ এবং নিম্ন কক্ষের নাম বিধানসভা। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট অর্থাৎ শুধু বিধানসভা।
ভারতের ছ’টি রাজ্যে (উত্তরপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর ও অন্ধ্রপ্রদেশ) বর্তমানে বিধান পরিষদ রয়েছে।
বিধান পরিষদের গুরুত্ব ও ক্ষমতা :
ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা(Article 171) অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সদস্য সংখ্যাr এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে না । আবার কোন অবস্থাতেই ৪০ এর নিচে হবে না। বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ছয় বছর । প্রতি ছয় বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও প্রতি দু’বছর অন্তর বিধান পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করেন।
বিধান পরিষদের নির্বাচন :
বিধান পরিষদের সদস্যরা ৬ বছর অন্তর নির্বাচিত হন ।প্রতি দুই বছর অন্তর দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করেন। ৩০ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দারাই বিধান পরিষদের সদস্য হতে পারবেন।
বিধান পরিষদের নির্বাচন পদ্ধতি:
* এক-তৃতীয়াংশ সদস্য নির্বাচিত হন বিধানসভার সদস্যদের ভোটে বিধানসভার সদস্য নন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে।
** এক-তৃতীয়াংশ সদস্য নির্বাচিত হন পৌরসংস্থা, পুরসভা ও জেলা পরিষদের মত স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংস্থা গুলি থেকে।
*** এক দ্বাদশাংশ সদস্য নির্বাচিত হন এক টানা তিন বছর রাজ্যে বসবাসকারী স্নাতকদের মধ্যে থেকে।
**** এক দ্বাদশাংশ সদস্য নির্বাচিত হন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটানা তিন বছর শিক্ষকতাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে।
***** এক ষষ্ঠাংশ।সদস্য মনোনীত হন রাজ্যপাল কর্তৃক সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা সমবায় আন্দোলন ও সমাজসেবার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদানকারীদের মধ্য থেকে।
বিধান পরিষদের আইনি ক্ষমতা :
অর্থবিল ছাড়া যে কোন বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায়। বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনো বিলকে বিধান পরিষদ সর্বাধিক ৪ মাস পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।