|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: জেলা জুড়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন থেকে,জেলার স্বাস্থ্যমহল। মালদা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পেরিয়ে গেছে,জেলার প্রতিটি ব্লকেই দিনের পর দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যতিক্রম নয় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরও।কিছুদিন আগেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এবং ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা আক্রান্ত হন।দুইদিন আগে পার্শ্ববর্তী চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ছয় জন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।ফ্রন্টলাইনে যারা লড়ছেন তাদের এই ভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন সকলেই।স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।
কিন্তু এতকিছুর পরেও কিছুতেই হুশ ফিরছে না মানুষের।যত আক্রান্ত বাড়ছে মানুষ যেন ততই আরোও অসচেতন হয়ে উঠছে।মঙ্গলবার হরিশ্চন্দ্রপুরের হাটবার।সেখানেও ফুটে উঠলো মানুষের অসেচতনতার ছবি।মুখে নেই মাস্ক,নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে পথে নামলেও হেলদোল নেই মানুষের।পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন হাটে গিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সকলকেই মাস্ক পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তিনটার মধ্যে দোকান বন্ধ করার কথা বলা হয়।কিন্তু পুলিশ তো এর আগেও বহুবার পথে নেমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছে কিন্তু মানুষের যে ঘুম ভাঙছে না তা তো দেখায় যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে হরিশ্চন্দ্রপুরে কঠোর ভাবে লকডাউন করার দাবি তুললেন এলাকার সচেতন বুদ্ধিজীবী মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহল।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরের এক সচেতন স্থানীয় বাসিন্দা রানা প্রতাপ রায় বলেন এরকম পরিস্থিতিতে কঠোর ভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া উচিত কারণ মানুষ কিছুতেই সচেতন হচ্ছে না।চাঁচল,মালদা থেকে শুরু করে রাজ্যের অনেক জায়গায় নতুন করে লকডাউন হচ্ছে,আমাদের হরিশ্চন্দ্রপুরেও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য তারকেশ্বর রায়ও কঠোর লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করেছেন এবং অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।তিনি জেলার বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি এবং বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।সাথে তিনি বলেন প্রশাসন কঠোর ভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিলে এলাকার ব্যবসায়ী মহল পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বান বসু বলেন আমরা এই বিষয়ের উপর নজর রাখছি,সকলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে তিনি আবারো মানুষকে সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন এবং সমস্ত বিধি মেনে চলতে বলেছেন।কারণ মানুষ নিজে সচেতন না হলে কিছুই সম্ভব নয়।