|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:অবসাদ, মন খারাপ, উদ্বেগ- আধুনিক জীবনের সব চেয়ে বেশি শোনা এবং বলা শব্দ এগুলোই। এমনিতেই আমাদের জীবন জেরবার হয়ে যাচ্ছে এই সব অভিশাপে। তার ওপর সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে লকডাউনের ফলে না কি দুনিয়ার অবসাদ বেড়েছে পাক্কা তিনগুণ। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম- এই তিনটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল এই নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল। শুধু সমাজের অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছ্বল শ্রেণীই নয়, আর্থসামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির চরম অবসাদও ধরা পড়েছে সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রাক-কোভিড সময়ে অবসাদ, উদ্বেগজনিত কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটা মানুষের সংখ্যা ছিল ১৭ শতাংশ। এপ্রিল মাসের পর থেকে তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ শতাংশে। সাইকোসোমাটিক মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সমীক্ষাটি। স্বল্প রোজগারের, রুজি হারানো, মহিলা এবং তরুণদের মধ্যেই অবসাদের হার বেড়েছে।
এই প্রসঙ্গে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্বের অধ্যাপক ডাঃ জেম দেলগাদিল্লো জানিয়েছেন যে, এমনিতেই সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যের পেছনে খরচ করার প্রবণতা কম। কিন্তু সঠিক সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা না করালে বিপদ বাড়তে পারে।
আবার অস্ট্রিয়ার ক্রেমস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক খ্রিস্টোফ পিয়েহ বলেছেন, প্যান্ডেমিক পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমান বিশ্বের এর আগে কোনও ধারণাই ছিল না। তাই এই পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যের কী কী বদল আসে, তা দেখতেই এ হেন সমীক্ষা করা হয়েছে। অবশ্য শুধু সাগরপার নয়, একই রকম একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল ভারতের মেট্রো শহরগুলোতেও।
টিআরএ হোয়াইট পেপার নামের এক সংস্থা এ দেশে তাদের প্রথম সমীক্ষাটি চালিয়েছিল লকডাউন শুরুর প্রথম দিকে। সেই সময়ে মানসিক সুস্থতার বিচারে অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ছিল দিল্লি এবং হায়দরাবাদ। সব চেয়ে শোচনীয় অবস্থা ছিল আহমেদাবাদের। কলকাতাকে আবার একই সঙ্গে মুখোমুখি হতে হয়েছে দুটি সমস্যার। প্রথমটি নিঃসন্দেহে কোভিড ১৯, দ্বিতীয়টি আমফান।
বিশেষ ব্যাপার হল লকডাউনের তৃতীয় দফাতে ফের আরেকবার এই সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ রাজ্যেই মানুষের মানসিক সুস্থতার হার আরও কমেছে। ব্যতিক্রম মাত্র দুটি শহর- মুম্বই এবং হায়দরাবাদ। এই দুটি শহরেই যথাক্রমে ২৬ এবং ১৮ শতাংশ বেড়েছে মেন্টাল ওয়েল বিইং ইন্ডেস্ক