দিল্লি থেকে পাঁচটি পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে আসলেন মালদার আম চাষী

    মালদাঃ জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে জাতীয় ফল আম উৎপাদনে সকলের নজর কেড়ে পাঁচ পাঁচটি পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে আসলেন মালদার আম চাষী জাভেদ আমিন। গাজোলের রাইসা দিঘির বাসিন্দা জাভেদ আমিন ফজলি, আম্রপালি ও মল্লিকা আম উৎপাদন করে পুরস্কৃত হয়েছেন। এর মধ্যে ফজলি ও আম্রপালি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দুইটি করে চারটি পুরস্কারই দখল করেছেন গাজলের এই আম চাষী। এছাড়াও মল্লিকা আম উৎপাদন করে তিনি দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন।
    ৫ই জুলাই থেকে ৭ই জুলাই পর্যন্ত দিল্লির জনকপুরি এলাকার দিল্লি হাটে এই প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা পর্যটন মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার উড়িষ্যা ঝাড়খন্ড মহারাষ্ট্র আসাম ও দক্ষিণ ভারতের অনেকগুলি রাজ্যের আম চাষীরা এই প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।

    জাভেদ আমিন বলেন, তিনি প্রায় ৪০ ধরনের আম নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় গেছিলেন। ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি, মল্লিকা, আশ্বিনা, বেগমভোগ, রানীপসন্দ সহ বিভিন্ন ধরনের আম এই প্রতিযোগিতায় হাজির করেছিলেন তিনি।
    পুরস্কার পাওয়ার পরে জাভেদ আমিন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আম চাষের সঙ্গে যুক্ত। আমার বাবা আমিনুল ইসলামও আম চাষ করতেন। তার কাছ থেকেই আমি আম চাষে উৎসাহ পেয়েছি। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, গাজোলে প্রায় ২৫ বিঘা জমির উপরে আম চাষ করেন জাভেদ আমিন ও তার দুই ভাই। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক ধরনের আম গাছ সংগ্রহ করে তিনি চাষ করেন। আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে তিনি বেশির ভাগ জৈব সার ব্যবহার করেন বলেই জানিয়েছেন। তার এই পুরস্কার পাওয়ার ফলে মালদার আম দেশজুড়ে অনেকটাই জনপ্রিয়তা পাবে বলে মনে করছেন মালদার অন্যান্য আম চাষীরা। হর্টিকালচার বিভাগের আধিকারিক রাহুল চক্রবর্তী বলেন, জাবেদ আমিন অনেকদিন থেকেই আম চাষের সঙ্গে যুক্ত। তিনি সঠিক পদ্ধতিতেই আম চাষ করেন। আগামী দিনে জৈব পদ্ধতিতে আম চাষ জনপ্রিয় করে তুলতে তাকে দিয়ে প্রচার এর কথা ভাবা হচ্ছে।