“রাজ্যের প্রাপ্য টাকায় থাবা বসাচ্ছে কেন্দ্র” : মুখ্যমন্ত্রী

মহঃ মফিজুর রহমান, নতুন গতি : টাউন হলের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার টাউন হলে ডব্লুইবিসিএস আধিকারিকদের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ফের কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কেন্দ্র তো টাকা দিচ্ছে না, উল্টে রাজ্যের প্রাপ্য টাকায় থাবা বসাচ্ছে।” প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না এরাজ্যে মানুষ। কেন্দ্র তো টাকা দিচ্ছে না, উল্টে রাজ্যের প্রাপ্য টাকায় থাবা বসাচ্ছে। মমতা বলেন, কেন্দ্রকে নিজের পকেট থেকে এইসব প্রকল্পের টাকা দিতে হয় না। এখান থেকে যে টাকাটা তুলে নিয়ে যায়, সেই টাকারই একটা অংশ রাজ্যকে দেয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, একে তো বাজার অগ্নিমূল্য, এই অবস্থায় ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পের টাকা না দিলে গরীব মানুষের সমস্যার সমাধান হবে কিভাবে ?

    এর পরেই আমলাদের প্রসঙ্গে ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আমলাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে কাজ করেছেন তাতে আমরা গর্বিত। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের আমলাদের জন্য বেশকিছু ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকরা বেতনের উর্ধ্বসীমায় পৌঁছানোর পর ১০ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিশেষ বন্দোবস্ত করবে সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের আমলাদের বেতনের ফারাক কমানোর জন্য আইপিএস, আইএএস এবং ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের সকল ভাতা সমান করার কথাও অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রাজ্য সরকারের অফিসারদের বিশেষ ব্যবস্থা ও সুযোগ সুবিধার কথাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি পদে এখন দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। আগে ডেপুটি সেক্রেটারি হতে গেলে ১৬ বছর লাগত, এখন তা কমিয়ে ৮ বছর করে দেওয়া হয়েছে। ডব্লিউবিসিএস চাকরির সময়সীমাও বাড়িয়ে ৩৬ বছর করা হয়েছে৷ আমলাদের কোনও ছুটি না থাকায় তাঁদের ১৩ মাসের বেতনের বন্দোবস্তও করে দেওয়া হয়েছে৷ দুটি অ্যাডিশনাল ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে৷ এদিন অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যে ফের জেলার সংখ্যা বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উন্নয়নের প্রয়োজনে জেলার সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন। আগামী দিনে ২৩ টি থেকে ৪৬ টি পর্যন্ত জেলা করার ইচ্ছা রয়েছে সরকারের। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না পর্যাপ্ত আধিকারিক না পাওয়ায়।”