|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বই পড়তে আমরা অনেকেই ভালবাসি। বই পড়ার ফলে বাড়ে জ্ঞানের ভান্ডার এবং বুদ্ধিও। পাঠ্যবই কিংবা গল্পের বই সব ধরনের বই পড়তে ভালোবাসেন সত্যিকারের বইপ্রেমীরা। তবে আজকের তরুণ প্রজন্ম আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে বইয়ের থেকে। তার কারণ বর্তমান দুনিয়ায় চলে এসেছে একাধিক বিনোদনের মাধ্যম। আগে টেলিভিশনই অনেকখানি সীমাবদ্ধ ছিল বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে। তবে এখন টেলিভিশন কেও হার মানিয়ে দিয়েছে ইন্টারনেট ও বর্তমান যুগের স্মার্টফোন। কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরীতে পাঠকদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য রয়েছে একাধিক নতুন ও পুরনো বইয়ের সম্ভার। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র ছাড়াও রয়েছে বীরেন পাল, শম্ভু পাল, কার্তিক চন্দ্র পাল, গনেশ চন্দ্র পাল, গোবিন্দ গোপাল মুখোপাধ্যায়, মাধুরী মুখোপাধ্যায় এছাড়াও জেলার নামিদামি লেখক-লেখিকার বই। প্রাচীন পুঁথি সহ এই লাইব্রেরীতে রয়েছে বাংলার ইতিহাস, বাংলার গদ্যরীতির ইতিহাস, ময়মনসিংহের ইতিহাস, চব্বিশ পরগনা, দিনাজপুরের ইতিহাস, মেদিনীপুরের ইতিহাস, নদীয়ার ইতিহাস ছাড়াও একাধিক ঐতিহাসিক বই ও উপন্যাস। এছাড়াও বিভিন্ন লেখক লেখিকার গল্প নাটকের বই তো রয়েছেই। বইয়ের ভান্ডার বলা হয় গ্রন্থাগারকে। গ্রন্থাগার বা পাঠাগার যে কোন শহর মফস্বল এমনকি গ্রামেও দু-একটা এখনও রয়েছে বটে তবে সেখানে পাঠকের সংখ্যা খুবই কম। মধ্য বয়সী কিংবা প্রাপ্ত বয়স্ক লোক ছাড়া শিশু-কিশোর কিংবা যুবকদের ভিড় পাঠাগারে খুব একটা বেশি আজকের দিনে দেখা যায় না বললেই চলে।বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে লাইব্রেরি মুখি করতে কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য বেশ কিছু উপায় বলেন, তা হল ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের পত্র পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে তাদের অভিভাবকদের। বাড়িতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা আনার যদি অভ্যাস গড়ে তোলেন শিশুরা সেগুলি নাড়াচাড়া করতে করতেই সেগুলোর প্রতি একটা ভালোবাসা জাগবে। কম বয়সী ছেলেমেয়েরা তাদের অভিভাবকদের কাছে দামি মোবাইল ফোনের বায়না করলে অভিভাবকেরা তাদের ফোন যেন কিনে না দেন।বাড়িতে বই পত্র পত্রিকা পড়ার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।বিভিন্ন সময়ে জন্মদিন কিংবা বিশেষ দিনে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের বই উপহার দিতে হবে।তবেই ধীরে ধীরে শিশুদের মনে বইয়ের জন্য ভালোবাসা জায়গা পাবে।