|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্ত বেশি হলে স্কুল-কলেজ ফের বন্ধের ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। একই সঙ্গে রাজ্যের লোকাল ট্রেন পরিষেবা, কর্মীদের অফিসে গিয়ে কাজ এবং ফের কন্টেনমেন্ট জোন করা নিয়েও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারই গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মমতা। সেখানেই রাজ্যের করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের আতঙ্ক নিয়ে কথা বলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবকে বলেছেন, ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ হচ্ছে দেশজুড়ে। স্কুল, কলেজ খুলে রাখা যাবে কিনা সেটা দেখে নাও। মাধ্যমিক পরীক্ষাও আছে। কোভিড প্রটোকল সিস্টেম মানতে হবে৷’ এর পাশাপাশি ফের একবার রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। তার কয়েক মাসের মধ্যে ফের দেশজুড়ে ওমিক্রনের আতঙ্ক বাড়ছে। রাজ্যেও বুধবার মোট ১০ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। লোকাল ট্রেনে যাতায়াত যে ফের একবার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা ডেকে আনতে পারে, তা নিয়ে চিন্তিত মমতা।
তবে এখনই লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। গঙ্গাসাগরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখনই সব বন্ধ করতে যেও না৷ তবে ট্রেনে মাস্ক পড়তে হবে। মাস্ক ও করোনা বিধি পালন করতেই হবে। ট্রেন এখনই কমাবে না, গঙ্গাসাগর আছে৷ মানুষ রুটি-রুজির জন্য কলকাতায় আসেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই অবশ্য পরিষ্কার, পর্যালোচনা করার পর যদি পরিস্থিতি বেগতিক হয়, তবে আগে থেকেই সতর্কতা নিতে লোকাল ট্রেন কমিয়ে আনা হবে, প্রয়োজনে বন্ধও করা হবে। যদিও এদিনের বৈঠকে এমন কোনও নির্দেশ তিনি দেননি।
ওমিক্রনের চিন্তার কারণে ফের, রাজ্যে ৫০ শতাংশ কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা বলেছেন মমতা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘ভয় পাওয়ার কারণ নেই। কিন্তু এই ওমিক্রন ছড়াচ্ছে বেশি। মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। সংখ্যা কমানোর দায়িত্ব আমাদের বেশি।’ রাজ্যে এখনও চল্লিশ শতাংশ লোকের করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা বাকি রয়েছে। বৈঠকেই স্বাস্থ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীকে হিসেব জানান। এর পরই মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রকে বলো আগে দ্বিতীয় ডোজ দিতে। বুস্টার তো তার পরে হবে।’ সব নতুন নির্দেশিকাই কার্যকর হবে ৩ জানুয়ারি থেকে।