বিশ্বভারতীর নামফলক ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় বেঁধে দিলো মমতা

দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন, আদর্শে তৈরি শান্তিনিকেতন সম্প্রতি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। বাংলার বুকে নিঃসন্দেহে এ এক বড় প্রাপ্তি। কিন্তু এমন গৌরবের নেপথ্য নায়কের নামই নেই কবিগুরুর স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতীর নামফলকে। বাদ পড়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই নাম। এ নিয়ে এবার প্রতিবাদের সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম ফেরানোর সময় দিলেন। জানালেন, শুক্রবার সকালের মধ্যে নাম ফেরাতে হবে। নইলে আন্দোলনে নামবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    গত মাসেই শান্তিনিকেতনের মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। তাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই স্বীকৃতির সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিদেশ সফরে। সেখান থেকেই এক্স হ্যান্ডলে তিনি শুভেচ্ছা জানান। ঘনিষ্ঠ মহলে আনন্দ প্রকাশ করেন। কিন্তু তার পরই বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি পদক্ষেপ যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথেরই নাম! সেখানে লেখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। আর এতে স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ শান্তিনিকেতনবাসী।

    বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী যে হেরিটেজ তকমা পেয়েছে, তা তো রবীন্দ্রনাথের জন্যই। আর তাঁর নামই সরিয়ে দিল? এতদিন পুজো ছিল বলে কিছু বলিনি। আগামিকাল সকালের মধ্যে যদি না ফলকে নাম ফেরানো হয়, তাহলে ওখানে আমাদের দল রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন করবে।”

    মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সুর চড়াতেই অবশ্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পিছু হঠে। তড়িঘড়ি সূত্র মারফত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ভুল হয়েছে। ওই নামফলক অস্থায়ী। দ্রুত তা বদলে ফেলা হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়াতেই বিশ্বভারতীর এমন মতবদল।