গণধর্ষণের পর মৃতদেহ প্রশাসনের দ্বারা পুড়িয়ে দেওয়া, হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেন মমতা ব্যানার্জি

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : হাসরথকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৪ টে নাগাদ শুরু হয় তৃণমূলের মিছিল। বিড়লা তারামণ্ডল থেকে শুরু করে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল। মমতার হাতে কালো কাপড়।

     

    গাঁধী মূর্তিতে পৌঁছে প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, হিংসা, গন্ডগোল বাঁধাতে চাইছে বিজেপি। অসম-উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার করা হয়েছে। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে।’

     

    হাথরসের ঘটনা ও তার অব্যবহিত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা করে মমতা বলেন, দলীয় সাংসদদের আটকে দেওয়া হয়েছে। পরিবারকে আটকে রেখে রাতের অন্ধকারে যোগী সরকার দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে। সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

     

    হাথরসের ঘটনার সঙ্গে সিঙ্গুরের ঘটনাকেও মেলান তিনি। মমতা বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে কী হচ্ছে গোটা দেশ দেখছে। ‘হাথরসে যা হয়েছে, সিঙ্গুরেও সেরকম হয়েছিল।

    এপ্রসঙ্গেই তিনি দিল্লি হিংসার কথাও উল্লেখ করে কেন্দ্র ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন। বলেন, ‘দিল্লি হিংসায় কতজন মারা গেছে কেউ জানে না। ভোটের সময় দলিত বন্ধু সাজা। বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে লোক দেখিয়ে খাবার খান বিজেপি নেতারা।’

     

    তিনি যোগ করেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে অত্যাচারিত দলিতরা। সবচেয়ে বড় অতিমারী বিজেপি। আজ আটকে দিল, একদিন তো দেখা হবেই। একদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা হবেই।’

     

    সাম্প্রতিককালে, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এদিন তার জবাবে মমতা বলেন, বাংলায় বলছে আইনশৃঙ্খলা খারাপ! বিজেপি হচ্ছে দেশের লজ্জা। একদিন মরতেই হবে, বিজেপিকে ভয় পাই না।’

     

    কেন্দ্রের সদ্য নতুন খাদ্যনীতির তুমুল সমালোচনা করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যতে ডাল, আলু, চাল, তেল নেই। দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল কথা বলতে পারে না।’

     

    পাশাপাশি, কেন্দ্রের শিল্পনীতিকেও একহাত নেন মমতা। বলেন, ‘কারও জীবনে নিরাপত্তা নেই, শুধুই মিথ্যে প্রচার। একের পর এক সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

     

    অন্যদিকে, হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বিকেল ৪টেয় মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে বাম ও কংগ্রেসের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন।