মতিয়ার সাঁপুই মানুষের মনে বেঁচে থাকবে, মন্ত্রী রথীন ঘোষ!

নিজস্ব প্রতিবেদন ; উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত -২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সদস্য মরহুম হাজী মতিয়ার রহমান সাঁপুই এঁর স্মরণ সভায় মানুষের আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো। বুধবার ব্লকের কৃত্তীপুর-১ পঞ্চায়েতের রাজারহাট খড়িবাড়ি রোডের লাঙ্গলপোতো বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় উপস্থিত হয়ে মরহুম মতিয়ার রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কাহিনীকে কুর্ণিশ জানায়। পাশাপাশি তিনি বলেন যেকোনো দলীয় কর্মসূচিতে মতিয়ার রহমানের উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল ছোটদের কাছে অনুপ্রেরণা। এই মৃত্যুর প্রকৃত তদন্ত উৎঘাটন করতে পুলিশ প্রশাসনের কাজ আরো দ্রুত করার আহ্বান তিনি রাখেন। স্থানীয় বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম তার বক্তব্যের মধ্যে উঠে আসে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ। রাজারহাট নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় উক্ত নেতার উদ্দেশ্যে রাজারহাট এলাকায় রক্তদান শিবির করার কথা ঘোষণা করেন এবং এই ধরনের নেতৃত্বের কর্মযজ্ঞ ভালোভাবে পরিচালনা করতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন। উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদে’র বক্তব্যে উঠে আসে পারিবারিক সম্পর্ক থেকে রাজনৈতিক জীবনের হাতে করে পুঙ্খানুপুঙ্খ তত্ত্ব। তিনি বলেন এই ধরনের মানুষ ছিলেন দলের সম্পদ তাঁর অবর্তমানে সকল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে বিরোধীদের সঙ্গে। মতিউর রহমান সাফিয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উক্ত ব্লকে দুটি যাত্রী প্রতিকালয় করার কথা ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে পরিবারের যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকার কথা তিনি ঘোষণা করেন। বারাসাত -২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ স্মৃতিচারণ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন এই অঞ্চল এক বলিষ্ঠ নেতাকে হারালো যা তৃণমূল কংগ্রেসের অপরনূনীয় ক্ষতি। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মতিউর রহমান শফিউ এর জায়গা পূরণ করতে হবে।দল সবসময় সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে পরিবারের পাশে থাকবে বলে তিনি বলেন।

    উক্ত সরণ সভায় শোকাহত পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মতিউর রহমান এর ছেলে বাপ্পা সাঁপুই,রাজারহাট নিউটাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রবীর কর, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি, বারাসাত 2 নম্বর ব্লক নেতৃত্ব ইফতিকার উদ্দিন, মানস ঘোষ,আছের আলী,আসরাফ আলি, মেহেদী হাসান,মান্নান আলি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সহ আপামর এলাকার সাধারণ দলীয় কর্মীরা।